কলকাতা: ভাইয়ের পথে হেঁটে দাদার তৃণমূলে যাওয়া নিয়ে যখন জল্পনা তুঙ্গে, তখনই মানস ভুঁইয়াকে দল থেকেই বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠি দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
এদিন অধীর চৌধুরী বলেন, সাসপেনশন একইসঙ্গে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করেছি। আমরা চাই, যত তাড়াতাড়ি হোক দল থেকে তাড়াতে। উনি তৃণমূলের কুনকি হাতি। আমাদের দলের ক্ষতি করছেন।
মানসকে কুনকি হাতি বলে আক্রমণ করে, পরোক্ষে তৃণমূলের হয়ে কংগ্রেসের ঘর ভাঙানোর অভিযোগই করলেন প্রদেশ সভাপতি। শুক্রবার, বিধানসভায় বৈঠকে বসে কংগ্রেস পরিষদীয় দল। বৈঠকে ছিলেন অধীর চৌধুরীও। এই বৈঠকেই, নেপাল মাহাতো-সহ কংগ্রেসের সিংহভাগ বিধায়কই মানস ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে সুর চড়ান। তাঁদের অভিযোগ, মানসের জন্য বার বার তাঁদের চরম অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে। তাঁরা দাবি করেন, সবংয়ের বিধায়কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
অধীর চৌধুরী তাঁদের লিখিত ভাবে প্রস্তাব দিতে বলেন। তখন, লিখিত প্রস্তাবে মানসকে কংগ্রেসের পরিষদীয় দল থেকে সাসপেন্ড করার আর্জি জানানো হয়। এরপরই, একধাপ এগিয়ে মানসকে দল থেকেই বহিষ্কারের আর্জি জানিয়ে এ কে অ্যান্টনিকে চিঠি লেখেন অধীর চৌধুরী। কংগ্রেসের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির প্রধান, অ্যান্টনিকে লেখা চিঠির সঙ্গে, বিধায়কদের চিঠিটিও জুড়ে দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
এতকিছুর পরেও মানস ভুঁইয়া অবশ্য নিজের অবস্থানে অনড়। তিনি এ দিন ফের পাল্টা অধীর চৌধুরী-আব্দুল মান্নানদের বিরুদ্ধে সুর চড়ান। সবংয়ের কং বিধায়ক বলেন, দলের একাংশে সিপিএমের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে....আমি সিপিএম বিরোধী বলেই অধীর-মান্নানরা আমাকে তাড়ানোর চেষ্টা করছে।
দলের আপত্তি সত্ত্বেও পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদে মানস ভুঁইয়ার বসা নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে বেশ কয়েক দিন ধরেই তুমুল অশান্তি। যার পারদ এ দিন আরও চড়ল।