কলকাতা: উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদি একাই তিনশো প্লাস। এবার কি তাদের টার্গেট বাংলা? এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে যখন জল্পনা তুঙ্গে, তখন বিজেপির দিকে পাল্টা চ্যালেঞ্চ ছুড়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার এবিপি আনন্দর স্টুডিওয় এসে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপি ইউপিতে জিতেছে বলে সারা ভারতে জিতবে এটা হবে না।ওরা বাংলাকে টার্গেট করলে আমি দিল্লিকে টার্গেট করব। এটা চ্যালেঞ্জ, চ্যালেঞ্জ, চ্যালেঞ্জ। ২০১৯’এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে রুখতে মহাজোট হলে তিনি যে আছেন, তা আগেই বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন একধাপ এগিয়ে তিনি জল্পনা আরও উস্কে দিলেন। বললেন, ভোট ভাগাভাগি করা উচিত নয়। যেখানে যে স্ট্রং, সেখানে তাকে সাপোর্ট করা উচিত। এসপি-বিএসপি হাফ হাফ সিটে লড়লেও অনেক সিট পেয়ে পেয়ে যাবে, না হলে পাবে না। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, নরেন্দ্র মোদী যে ভাবে উত্তরপ্রদেশে একাই ট্রিপল সেঞ্চুরি, তাতে ২০১৯-এর লোকসবা ভোটে অ্যাডভান্টেজ বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য এই ব্যাখ্যা মানতে নারাজ। বলেন, উত্তরপ্রদেশে একতরফা জিতেছে। বিরোধীরা লড়াই করতে পারেনি। উত্তরপ্রদেশে ফুল চেঞ্জ হতে পারে। এপ্রসঙ্গে তিনি প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা-রাজীব গাঁধী থেকে শুরু করে রাজ্যের বাম আমলের কথাও টেনে আনেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ইন্দিরা ৭৭-এ হেরেছিল। ১৯৮০ সালে ফিরে এসেছিল। রাজীব ১৯৮৯-এ হেরেছিল, ১৯৯১ সালে কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছিল। বুদ্ধদেব ২৩৫ নিয়ে ২০০৬ সালে ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু ২০০৭ থেকে হাওয়া অন্যরকম। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এখনও অনেক সময় বাকি দেখুন না কী হয়। যোগী আদিত্যনাথ বলতেই পারেন, মোদী কেন, আমিও প্রধানমন্ত্রী হতে পারি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, এবার উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি এবং মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি হাত মেলালে অন্যরকম ফল হতে পারত। এই সূত্র ধরেই তৃণমূলনেত্রীর স্পষ্ট বার্তা, বিজেপিকে রুখতে বিজেপি বিরোধীদের একজোট হতে হবে। যে যেখানে শক্তিশালী, সেখানে তাকে সমর্থন। বুঝিয়ে দিলেন, এটাই তাঁর ফর্মুলা।