কলকাতা:  ভ্রাতৃদ্বিতীয়াতেও সকাল থেকে বৃষ্টি কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, গতকাল রাত পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের অবস্থান ছিল জামশেদপুরের কাছাকাছি। প্রতিঘণ্টায় প্রায় ১৩ কিলোমিটার বেগে উত্তর ও উত্তর-পূর্বে এগোচ্ছে নিম্নচাপ। যার জেরে আজ দিনভর কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে মাঝারি থেকে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনার একাংশে। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের সব জেলায় আজ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে।

এদিকে সকাল থেকে বৃষ্টির জেরে কলকাতার বেশ কিছু এলাকায় জল জমে গিয়েছে। জল জমেছে সিআর অ্যাভিনিউ, দমদম ও পাতিপুকুর আন্ডার পাস, ঠনঠনিয়া, এমজি রোডে। তবে জমা জলের কারণে এখনও পর্যন্ত যানজটের খবর নেই। গতকাল রাত থেকে টানা বৃষ্টি ও ঝোড়া হাওয়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকখালির ফ্রেজারগঞ্জে ভেঙেছে সমুদ্র বাঁধ। জলের তোড়ে বাঁধের প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ মিটার ভেঙে গিয়েছে। জলমগ্ন বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং চাষের জমি। ঘরছাড়া প্রায় ৫০টি পরিবার।

এদিকে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন। সঙ্গে দোসর ঝোড়ো হাওয়া। মুর্শিদাবাদেও ভাইফোঁটার সকাল শুরু বৃষ্টি সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া দিয়ে। ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে সকাল থেকে শুরু হয়েছে মাঝারি বৃষ্টি।

পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা, ঘাটাল দাসপুরের মতো জায়গাগুলিতে সকাল থেকে চলছে ভারী বৃষ্টি। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। অনেক জায়গায় বৃষ্টির জেরে দাঁড়িয়ে গিয়েছে জল। ফসল নষ্টের আশঙ্কায় কৃষকরা।

জেলা জুড়ে কোথাও হালকা আবার কোথাও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুরেও। ধানের মরসুমে বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ায় ফসলের প্রভূত ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।