কলকাতা: ফের তৃণমূলের অন্দরে ‘বিদ্রোহ’।  রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের একাংশের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর  জুঁই বিশ্বাস।  কলকাতা পুরসভার ৮১ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর জুঁই বিশ্বাসের ভাইরাল ভিডিও ঘিরে বিতর্ক ছড়িয়েছে দলের অন্দরে। এ ব্যাপারে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন,  ‘উত্তেজনার বশে বলে ফেলেছেন, পরে ভুল বুঝবেন।’ পাল্টা জুঁই বিশ্বাসের দাবি, কোনও ভুল করিনি। তিনি বলেছেন, আমি কর্মিসভায় বক্তব্য রেখেছিলাম। কিছু ভুল বলিনি, অনেক ভেবেচিন্তেই বলেছি।  ওয়ার্ডে ওনার যারা লোক রয়েছেন তারা দলবিরোধী কার্যকলাপ করছেন। অনেক অভিযোগ আসছে। তার বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ করেছি। সকলে চাই একসঙ্গে লড়তে, দল করতে অসুবিধা হচ্ছে। সুব্রত বক্সীকে জানাব।


কারও নাম করেননি। কিন্তু আক্রমণের লক্ষ্য কে তা বুঝিয়ে দেন ৮১ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর জুঁই বিশ্বাস।

শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র রাসবিহারীর মধ্যে পড়ে ৮১ নম্বর ওয়ার্ড।এই ওয়ার্ডের দুবারের কাউন্সিলর তথা বর্তমান কোঅর্ডিনেটর জুঁই বিশ্বাস।

সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও ঘিরে বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুঁই বিশ্বাসের দ্বন্দ্ব আরও একবার প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাইয়ের স্ত্রী জুঁইয়ের এই মন্তব্য নিয়ে আর বিতর্ক বাড়াননি শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

ভাইরাল ভিডিওতে জুঁই বিশ্বাসকে বলতে শোনা যায়,  ‘একুশে কারও হয়ে ভোট চাইতে বেরোব না। যে নেতারা শুধু ভোটের সময় আসেন, ভোট চলে গেলে যারা কর্মীদের সঙ্গেও দেখা করেন না, তাঁরাই ভোটের সময় বোঝাপড়া করতে চলে আসেন!’

তিনি আরও বলেছেন, ‘এতদিন মুখ খুলিনি, কিন্তু সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। যারা গালিগালাজ করছে তারাও তো সুবিধা নিয়েছে। কার কোথায় সেটিং আছে সব আমরা জানি। আর তো ৪-৫ মাস, সব হিসেব বুঝে নেব।’