কলকাতা: ২৪ তারিখ রাজ্য বিধানসভায় বাজেট পেশ। তার আগে, শুক্রবার রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে নতুন সরকারের আমলে প্রথম বিধানসভার অধিবেশন শুরু। তিনদিন আলোচনা হবে রাজ্যপালের বক্তৃতার উপর। ২৩ তারিখ ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন। ২৪ তারিখ বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী। বিধানসভা সূত্রে খবর, ২৫ তারিখ থেকে তিন দিন সাধারণ বাজেটের উপর আলোচনা। তারপর, চার দিন দফতরওয়াড়ি বাজেটের জন্য আলোচনা বরাদ্দ করা হয়েছে। ৪ জুলাই অধিবেশন শেষ হবে। বৃহস্পতিবার, কার্যবিবরণী সভার, সর্বদলীয় বৈঠকে এই সূচি চূড়ান্ত হয়। দফতরওয়াড়ি বাজেটের জন্য যে চার দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় কম বলে বিরোধীদের অভিযোগ। তাদের দাবি, এর জেরে অধিকাংশ দফতরই গিলোটিনে চলে যাবে। আলোচনা এড়ানোর জন্যই সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে তাদের অভিযোগ। সরকারের পাল্টা দাবি, প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ দফতর নিয়েই এবারের অধিবেশনে আলোচনা হবে। তাছাড়া, প্রতিবারই বেশ কিছু দফতরের বাজেট গিলোটিনে যায়। ইদের জন্য এবারের অধিবেশনের সময়সীমা কাটছাঁট করতে হয়েছে। অধিবেশনের সময়, মূল্যবৃদ্ধি-সহ নানা ইস্যুতে এ বার যে বিধানসভা উত্তপ্ত হতে পারে, এ দিন তাঁর আঁচ মিলেছে বিরোধী দলনেতার কথায়। আব্দুল মান্নান বলেন, সরকার যেমন আমাদের দয়ায় আসেনি, আমরাও তাদের দয়ায় বিরোধী আসনে বসিনি। বিরোধী দলের মর্যাদা কীভাবে রক্ষা করতে হয় তা জানি। পাল্টা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিধানসভার বাইরে জোটের মোকাবিলা করে ক্ষমতায় এসেছি। বিধানসভার ভিতরেও তাদের মোকাবিলা করব। সুষ্ঠুভাবে সভা পরিচালনার জন্য শাসক-বিরোধী সবার কাছেই সহযোগিতা চেয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। শুক্রবার, রাজ্যপালের ভাষণের দিন বিধানসভায় থাকছেন না বিজেপির তিন বিধায়কই। বিধায়ক তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, দলের রাজ্য কমিটির বৈঠক আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। সেই বৈঠকে যোগ দিতে যেতে হচ্ছে বলে অধিবেশনের শুরুর দিন থাকতে পারছেন না। বিষয়টি তাঁরা স্পিকারকে চিঠি দিয়েও জানিয়েছেন।