কলকাতা:  দুরারোগ্য ব্যধিতে লোপ পেয়েছে স্মৃতি। মনে নেই কিছুই। আছে শুধু অতীত-ভোলা অস্তিত্ব। তাই স্ত্রী-র স্মৃতি ফেরাতে, ৫৫ বছরের বিবাহবার্ষির্কীতে বিয়ের আসর বসালেন স্বামী!
অর্ধ শতক পার করা দাম্পত্য। স্বামী- পবিত্র নন্দী। অধ্যাপক। স্ত্রী গীতা নন্দী ছিলেন চিকিৎসক। তাঁরা নিঃসন্তান। দশ বছর আগে পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু সুখের সংসারে হঠাৎ ছন্দ পতন। ক্রমশ ফিকে হতে শুরু করে অশীতিপর গীতা নন্দীর স্মৃতি। ধীরে ধীরে গ্রাস করে ডিমেন্সিয়ার অন্ধকার। চিকিৎসকের পরামর্শে, স্ত্রীকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যান পবিত্র নন্দী। কিন্তু বিশেষ কিছু লাভ হয়নি। এরই মধ্যে বাংলাদেশের জন্মভিটে থেকে স্ত্রীকে ঘুরিয়ে আনেন বৃদ্ধ। অনেক কিছু চিনতে পারেন বৃদ্ধা। এরপরই স্ত্রীর স্মৃতি ফেরাতে অভিনব উদ্যোগ স্বামীর।
দমদমের রবীন্দ্রনগরের বাড়িতে রবিবার সকাল থেকেই অতিথিদের আনাগোনা। মেনু কার্ড ছাপিয়ে এলাহী খাওয়া-দাওয়া, মালাবদল, বিবাহবার্ষিকীতেই আবার বিয়ে।
হাতের ওপর হাত রাখা সহজ নয়। বাড়ানো হাত ধরতে চাওয়াও সহজ নয়। কিন্তু এই কঠিন কাজটাই করে চলেছেন আশি পেরোনো পবিত্র নন্দী। এদিনও সর্বক্ষণ স্ত্রী-র কাঁধে হাত স্বামীর। রোজকার মতো নিজে হাতেই খাইয়ে দিলেন স্ত্রীকে।