কলকাতা: দলের সব সিদ্ধান্ত মেনে চলব। প্রকাশ্যে দলবিরোধী কোনও কথা বলব না। এই মর্মে মুচলেকা দিত হল কংগ্রেসের ৪৪ জন বিধায়ককে। আজ বিধান ভবনে প্রদেশ কংগ্রেসের বৈঠকে ঘটল এই অভিনব ঘটনা। গতবারের ভাঙনের ধাক্কা সামাল দিতে এবার প্রথম থেকেই সতর্ক প্রদেশ কংগ্রেস। মঙ্গলবার, বিধান ভবনের দলীয় বৈঠকে ৪৪ জন বিধায়কের কাছ থেকেই মুচলেকা নেওয়া হয়। ১০০ টাকার নন-জুডিসিয়াল পেপারে লেখা এই মুচলেকায় বলা হয়েছে, আগামী দিনে সনিয়া গাঁধীর নেতৃত্বাধীন জাতীয় কংগ্রেসের প্রতি অনুগত থাকব। দলের সমস্ত সিদ্ধান্ত মেনে চলব। বিধানসভায় মুখ্য সচেতক যে নির্দেশ দেবেন, তাই পালন করব। প্রকাশ্যে দল বিরোধী কোনও কথা বলব না। দলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে হলে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে করব। অভিনব হলেও মুচলেকা সংস্কৃতি বিরল নয় কংগ্রেসে। প্রায় সাড়ে তিন দশক আগে, লোকসভা নির্বাচনে সাংসদ পদে টিকিট দেওয়ার আগে দলীয় প্রার্থীদের প্রতিজ্ঞাপত্রে সই করিয়ে নিয়েছিলেন ইন্দিরা গাঁধী। প্রতিজ্ঞা করতে হয়েছিল জিতে এসে দলের সব সিদ্ধান্ত মেনে চলবেন তাঁরা। ৩৫ বছর পর, এবার কার্যত সেই পথেই হাঁটল প্রদেশ কংগ্রেস। এদিকে সূত্রের খবর, সুজন চক্রবর্তী সিপিএমের পরিষদীয় দলনেতা হবেন বলে যখন মোটামুটি পাকা, তখন নিজেরা সিদ্ধান্ত নিতে না পেরে, পরিষদীয় দলনেতা ঠিক করার দায়িত্ব সনিয়া গাঁধীকেই দিল প্রদেশ কংগ্রেস। যাবতীয় বিতর্ক দূরে ঠেলে, মঙ্গলবারের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বাম-কংগ্রেস জোটকে শুধু এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই নয়, তাকে আরও মজবুত করাই হবে লক্ষ্য। এ কারণে, শীর্ষস্তর থেকে নিচুতলায় তৈরি করতে হবে জোটের আবহ। জেলায় জেলায় বাম-কংগ্রেস সমন্বয় কমিটি গড়ার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হবে আলিমুদ্দিনে।