কলকাতা:  দিল্লি বোর্ডের স্কুল সিলেবাস নিয়ে নয়া বিতর্ক। আইসিএসই কাউন্সিলের সিইওকে চিঠি শিক্ষামন্ত্রীর। রাজ্যের অনুমোদন না নিয়ে সিলেবাস লাগু আইন বিরুদ্ধ। অভিযোগ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। মানতে নারাজ কাউন্সিল।

এবার সিলেবাস নিয়ে আইসিএসই  কাউন্সিলের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত! আগামী শিক্ষাবর্ষে প্রি স্কুল থেকে ক্লাস এইট পর্যন্ত এই সিলেবাসকে বাধ্যতামূলক করেছে কাউন্সিল। আর এর প্রতিবাদে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের চিঠি ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

এর পাশাপাশি আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে কেন্দ্রীয়ভাবে মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করছে আইসিএসই কাউন্সিল।

কেন রাজ্যের অনুমোদন না নিয়ে, সিলেবাস লাগু বা কেন্দ্রীয়ভাবে মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত? এই প্রশ্ন তুলে আইসিএসই কাউন্সিলের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এবং সেক্রেটারি জেরি অ্যারাথুনকে চিঠি দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। রাজ্য সরকারের দাবি, এটা শিক্ষার অধিকার আইনের পরিপন্থী।

শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ মানতে নারাজ কাউন্সিল। সেক্রেটারি জেরি অ্যারাথুনের বক্তব্য, শিক্ষার অধিকার আইনের ২৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী, অ্যাকাডেমিক অথরিটি গঠনের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হয় সরকারকে।

কিন্তু রাজ্য সরকার কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি। বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি বলে স্বীকারও করে নিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

সূত্রের খবর, এনিয়ে আগেই আইসিএসই-র আওতাধীন শহরের কয়েকটি স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে। সেই সূত্রে রাজ্য সরকারের এই তত্পরতা।

এবার সিবিএসই-র সিলেবাস ও পরীক্ষা পদ্ধিতেও বদল এসেছে। ২০১৮ থেকে ফিরে আসছে দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষা। তবে  আইসিএসই-র সিলেবাস নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সরকার-কাউন্সিলের এই সংঘাত পর্বে, অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে না তো, রাজ্যের প্রায় ৪০০ আইসিএসই স্কুলের লক্ষ লক্ষ পড়ুয়া?