কলকাতা:  চারু মার্কেট থানা এলাকায় তরুণীর রহস্যমৃত্যু। গ্রেফতার লিভ ইন পার্টনার। আত্মহত্যার তত্ত্ব মানতে নারাজ মৃতের পরিবার।
পরিজনদের সঙ্গে বনিবনা হয়নি। বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এসে লিভ ইন করতে শুরু করেছিলেন। সেখানেই রহস্যমৃত্যু হল এই তরুণীর!
পুলিশ সূত্রে খবর, আগে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বছর বাইশের উর্মি দাসের। ফেব্রুয়ারিতে ২ জনের রেজিস্ট্রি হয়। নভেম্বরে অনুষ্ঠান করে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। পরিবার সূত্রে দাবি, এরমধ্যেই সুদীপ্ত দাস নামে এক যুবকের সঙ্গে আলাপ হয় উর্মির। আগের প্রেমিকের কাছে ডিভোর্স চান তিনি। এ নিয়ে মা-বাবার সঙ্গে ঝামেলা চলছিল মেয়ের।
সম্প্রতি চারুচন্দ্র প্লেস ইস্টের এই বাড়ি ভাড়া নিয়ে লিভ ইন করতে শুরু করেন উর্মি ও সুদীপ্ত। যদিও পরিবারের দাবি, সম্পর্কটা কখনওই স্বাভাবিক ছিল না।



উর্মির কোনও বন্ধুর ফোন এলে অসন্তুষ্ট হতেন সুদীপ্ত। এ নিয়ে দু’জনের ঝামেলাও হত। মৃতের বোন দাবি করে, দিদিকে ফোন করলে সন্দেহ করত। পরিবারের দাবি, এই সন্দেহ থেকেই সম্পর্কের অবনতির সূত্রপাত।
পুলিশ সূত্রে দাবি, মঙ্গলবার বিকেলেও দু’জনের মধ্যে একপ্রস্থ ঝামেলা হয়। বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সুদীপ্ত। তাঁর দাবি বাড়ি ফিরে উর্মির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তিনি। এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে উর্মিকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
যদিও উর্মির পরিবার মনে করছে, এটা খুনের ঘটনা! মৃত তরুণীর বাবা উত্তম দাস বলেন, প্রচুর টাকা চেয়ে চাপ দিত সুদীপ্ত। আত্মহত্যা নয়, আমার মনে হয়, এটা পরিকল্পনা করে খুন।
লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে উর্মির লিভ-ইন পার্টনারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আত্মহত্যার প্ররোচনার ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে।