নেতাজি নগর থানার কাছে দোতলা বাড়ির একতলায় একা ভাড়া থাকতেন বছর ৬৫-র গৌরী সেন। বাড়ির মালিকের দাবি, শনিবার সকালে তিনি দেখেন, বাড়ির পিছনের দিকের একটি জানালার গ্রিল কাটা। জানালা দিয়ে দেখেন, গোটা ঘর লন্ডভণ্ড। মেঝেতে পড়ে প্রৌঢ়ার কম্বল জড়ানো দেহ। কিন্তু কে খুন করল প্রৌঢ়াকে? পরিবারের অভিযোগ, মৃতের স্বামীর দিকে। যদিও অভিযুক্তের দাবি, তিনি কিছুই জানেন না।
পুলিশ সূত্রে খবর, এনবিএসটিসি-তে চাকরি করতেন দেবব্রত চট্টোপাধ্যায় ও গৌরী। সেখানেই তাঁদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর বিয়ে। পরে গৌরী জানতে পারেন, দেবব্রতর সংসার আছে কোচবিহারে। এরপরেই চিড় ধরে দু’জনের সম্পর্কে। প্রতিবেশীদের দাবি, মাস কয়েক একাই থাকছিলেন গৌরী। এদিন সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।
পুলিশের অনুমান, টাকা-পয়সার লোভেই শ্বাস রোধ করে খুন করা হয়েছে মহিলাকে। খুনি ছিল একাধিক। খুনের সময় বাধা দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন প্রৌঢ়া। তাই লণ্ডভণ্ড হয়েছে ঘর। ঘটনায় কোনও হাত আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে আটক করা হয়েছে প্রৌঢ়কে। কথা বলা হচ্ছে প্রৌঢ়ার পরিবারের সঙ্গে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে পাশের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ।