কলকাতা: স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে শহরের রাজপথে লুণ্ঠিত এক তরুণীর স্বাধীনতা, সম্ভ্রম। অভিযোগ, ঘটনাস্থলে নীরব দর্শক এক পুলিশকর্মী। থানায় গেলেও অভিযোগ নিতে গড়িমসি, ডাক্তারি পরীক্ষায় উদ্যোগ না নেওয়ার অভিযোগ।

গোটা দেশ যখন ৭০ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের প্রস্তুতিতে মগ্ন, রবিবার রাতের রাজপথে তখন শ্লীলতাহানির শিকার এক তরুণী।
ঘটনাটি ঘটেছে মানিকতলা থানা এলাকার বাগমারি রোডে। স্থানীয় বাসিন্দা এক তরুণীর অভিযোগ, রাতে বাড়ি ফেরার পথে শ্লীলতাহানির শিকার হন তিনি।

তরুণীর অভিযোগ, তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি কেউ। বার বার বলা সত্বেও সাহায্য করেননি এক পুলিশ কর্মীও। তরুণীর দাবি, আশপাশের দোকানের কর্মীরা ঘটনা দেখতে পেলেও কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। শেষমেশ, ১০০ ডায়ালে ফোন করেন তরুণী।

অভিযোগকারিণীর দাবি, সেই সময় অভিযুক্ত দুই তরুণের একজন বলতে থাকে, ‘বাইকের নম্বর দিয়ে দে কিছু করতে পারবে না... বলে, পুলিশ পায়ের তলায়, রাজনীতিকরা পকেটে’।

মিনিট ১৫ পর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় যুবকরা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান তরুণীকে।
পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ সেখানেও।

তরুণীর দাবি, প্রথমে এফআইআর নিতে চায়নি পুলিশ। এমনকী, উদ্যোগ নেওয়া হয়নি ডাক্তারি পরীক্ষার।
চাপের মুখে শেষপর্যন্ত এফআইআর নেয় থানা।

রবিবার গভীর রাতে পুলিশ গ্রেফতার করে ভোলা সাউ নামে এক অভিযুক্তকে। অপর অভিযুক্ত স্বপন দাস এখনও পলাতক। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩৫৪ ধারায় শ্লীলতাহানি, ৩২৩ ধারায় মারধর ও ৫০৯ ধারায় হুমকির অভিযোগে রুজু হয়েছে মামলা। যার মধ্যে প্রথম ধারাটি জামিন অযোগ্য।

সোমবার ভোলাকে আদালতে তোলা হলে একদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠান বিচারক। মঙ্গলবার ফের তোলা হলে জামিন পায় ভোলা।