ঝাড়খণ্ডের ঘাটশিলা থেকে কলকাতায় বিমান সেবিকার কোর্স করতে এসেছিলেন। পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকছিলেন কালীঘাটের ঈশ্বর গাঙ্গুলি স্ট্রিটের এক বাড়িতে।
সেখান থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ ভিনরাজ্যের তরুণী সুস্মিতা রায়!
পরিবার সূত্রে দাবি, ১০ ডিসেম্বর থেকে তারা সুস্মিতাকে ফোনে পাচ্ছিলেন না। সুস্মিতা কোথায় বলতে পারেননি বাড়িওয়ালা এবং রুমমেটরা।
এরপর মেয়ের খোঁজে ঘাটশিলা থেকে কলকাতায় চলে আসে উদ্বিগ্ন পরিবার। কালীঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু কোথায় গেলেন তরুণী?
মেসের এক আবাসিক জানিয়েছে, তরুণীর কাছে ফোন আসলে, মেয়েটি খুব চেঁচাত। খুব চিতকার করত। তবে কোথায় গিয়েছে তরুণী, সেবিষয়ে ওই মেয়েটি কিছু জানে না।
অভিযোগপত্রে তরুণীর পরিবার দাবি করেছে, নিখোঁজ হওয়ার পর বাড়িওয়ালা তাঁদের দেরি করে খবর দিয়েছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ভাড়াটিয়াদের সম্পর্কে কোনও তথ্যই থানায় দেননি বাড়িওয়ালা।
পরিবারের দাবি, সম্প্রতি ঘাটশিলা থেকে কয়েকজন সুস্মিতাকে ফোনে উত্যক্ত করছিল, তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়!
পরিজনদের আশঙ্কা, সম্ভবত সুস্মিতাকে অপহরণ করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে অপহরণ ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর,
মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন খতিয়ে দেখে জানা গিয়েছে, শেষবার ধর্মতলায় ছিলেন সুস্মিতা! তারপর থেকে মোবাইল সুইচড অফ রয়েছে!