কলকাতা: হেদুয়া পার্কে সাঁতার শিখতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সঙ্গীতা দাসের।


দিন পনেরো হল সাঁতার শেখা শুরু করেছিলেন বছর বাইশের সঙ্গীতা দাস। এদিন ও ভোরে পিসির সঙ্গে গিয়েছিলেন সাঁতার শিখতে। কিন্তু আর ফেরা হল না।

ভোর সাড়ে ৫ নাগাদ প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবারও হেদুয়া পার্কের এই সাঁতার স্কুলে সাঁতার শিখতে নামেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সঙ্গীতা। পুলিশের দাবি, ৩০-৩৫ ফুট গভীর পুকুরের একটি অংশ নির্দিষ্ট করা রয়েছে শিক্ষানবীশদের জন্য। রেলিং ঘেরা ওই অংশের গভীরতা সাড়ে তিন ফুট। নিয়মমতো, এই অংশেই সাঁতার শেখার কথা সঙ্গীতার।

সকাল সাড়ে ছটায় একে একে জল থেকে উঠে আসতে শুরু করেন মেয়েরা। কিন্তু, দেখা মেলেনি সঙ্গীতার। জামা-কাপড় পড়ে আছে, কিন্তু সঙ্গীতা নেই! তখন টনক নড়ে সবার! শুরু হয় খোঁজ!

 

কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর, পুকুর থেকেই উদ্ধার হয় সঙ্গীতার দেহ। তবে, শিক্ষানবীশদের জন্য নির্দিষ্ট অংশ থেকে নয়! তার বাইরে থেকে!

সঙ্গীতার সাঁতার শেখার কথা শিক্ষানবীশদের জন্য নির্দিষ্ট অংশে, তাহলে তাঁর দেহ অন্য জায়গা থেকে উদ্ধার হল কেন? তবে কি মাত্র ১৫ দিন সাঁতার শেখার পরই তাঁকে গভীর জলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল? নাকি কোনওভাবে গভীর জলে চলে গিয়েছিলেন তিনি? যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে কেন প্রশিক্ষকদের তা চোখে পড়ল না? প্রশ্ন উঠছে।

থানায় নিয়ে গিয়ে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে কর্তৃপক্ষ এবং প্রশিক্ষকদের। এদিকে, ঘটনার পর, তড়িঘড়ি নোটিস ঝুলিয়ে তিনদিনের জন্য সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।