কলকাতা: সম্মান রক্ষার অজুহাতে বোনকে খুনের পর কাটা মাথা হাতে থানায় হাজির হয়েছিল নিজেই। পাভলভ মানসিক হাসপাতাল থেকে পালাল সেই বিচারাধীন বন্দি মেহতাব হোসেন।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে হঠাত্‍ই উধাও হয়ে যায় মেহতাব। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার কথা জানানো হয় তপসিয়া থানাকে। শহর ও আশেপাশের সব জেলার থানায় পাঠানো হয় ছবি। কিন্তু এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। ঘটনায় প্রশ্নের মুখে মানসিক হাসপাতালের নিরাপত্তা।
২০১২ সালের ৮ ডিসেম্বর এক হাতে বোনের কাটা মাথা, অন্য হাতে তলোয়ার নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নাদিয়াল থানায় আত্মসমর্পণ করে মেহতাব হোসেন। যে দৃশ্য দেখে শিউরে ওঠে রাজ্যবাসী। পুলিশের দাবি, মেহতাব জানিয়েছিল, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায়, বোনকে খুন করেছে সে।
ঘটনার পর আদালতের নির্দেশে সংশোধনাগারে পাঠানো হয় মেহতাবকে। মানসিক রোগগ্রস্ত হয়ে পড়ায় চলতি বছরের ২১ মার্চ থেকে পাভলভ মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখান থেকেই ফেরার মেহতাব।
অন্যদিকে, রানাঘাট মহকুমা আদালত চত্বর থেকেও এদিন পালিয়ে যায় এ বিচারাধীন বন্দি। কৃষ্ণনগর জেলে ছিল বিচারাধীন বন্দি সুবল হাওলাদার। শুক্রবার তাকে রানাঘাট মহকুমা আদালতে আনা হয়। প্রিজন ভ্যান থেকে নামানোর সময় ওই বন্দি কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য স্থানীয় মানুষ ও পুলিশকর্মীদের তৎপরতায় অবশ্য ধরা পড়ে যায় সে।