টরেন্টো: কোভিড বিধির বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলনের মোকাবিলায় জরুরি অবস্থা জারি করল কানাডা সরকার।  প্রায় ৫০ বছর পর কানাডায় জারি হল জরুরি অবস্থা। কানাডায় বেশ কিছুদিন ধরেই ট্রাক চালকদের ধর্মঘট চলছে। সম্প্রতি কানাডায় করোনার ভ্যাকসিন নেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে সে দেশের সরকার। তারপরই এই নির্দেশ প্রত্যাহার ও কোভিড বিধি শিথিলের দাবিতে শুরু হয়েছে আন্দোলন।  এই পরিস্থিতিতে জারি হল জরুরি অবস্থা।  


ট্রাক চালকদের করোনাভাইরাসের টিকা বাধ্যতামূলক করতে সরকারের উদ্যোগের বিরোধিতা করে ‘ফ্রিডম কনভয়’ নামের বিক্ষোভ শুরু হয়। এর ফলে রাজধানী ওটোয়াসহ কানাডার অনেক জায়গার স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে ফোর্ড বলেন, গুরুত্বপূর্ণ অফিস আদালত বন্ধ করে বিক্ষোভ করা সম্পূর্ণ অবৈধ। এমন আদেশের পরও ট্রাক চালকরা এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখলে জরিমানা এবং এক বছরের সাজা ভোগ করতে হতে পারে।                                                         


প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলছে এই বিক্ষোভ। যার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশটিতে সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা। পরিস্থিতি সরকারের প্রায় হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। ফলতঃ সে কারণেই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছেন প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড। বিবিসি সূত্রে  এমনটাই খবর। 


এও বলেন,  “আন্তর্জাতিক সীমান্ত, বিমানবন্দর, প্রধান সড়ক ইত্যাদি যে কোনও পরিষেবায় যারা বাধা সৃষ্টি করবে, তাদের জন্য এ আদেশ প্রয়োজ্য। এমনকি প্রয়োজনে ট্রাক চালকদের লাইসেন্সও বাতিল করা হতে পারে।” জানুয়ারি মাসের ২৮ তারিখ থেকে কানাডার রাজধানীতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন ট্রাক চালকরা। পাশাপাশি লকডাউন সহ কোভিড সংক্রান্ত বিভিন্ন সরকারি বিধি নিয়ে আপত্তি রয়েছে বিক্ষোভকারীদের।