নয়াদিল্লি: ঘন কুয়াশায় ভয়ঙ্কর বিপর্যয় হরিয়ানায়। পর পর বাস, গাড়ি, ট্রাক উল্টে গেল। রবিবার ভোরেই দু’-দু’টি বিপর্যয় ঘটেছে। গাড়ি, বাস, ট্রাক একটি আর একটির উপর উঠে যায়। লন্ডভন্ড হয়ে যায় চারিদিক। গত কয়েক দিন ধরেই ঘন কুয়াশার দাপট বজায় রয়েছে হরিয়ানায়। আর তার জেরেই এদিন সকালে বড় বিপর্যয় ঘটে গেল। (Haryana Fog Accident)

Continues below advertisement

রবিবার সকাল ৮টা নাগাদ, ৫২ নং জাতীয় সড়কের উপর প্রথমে দু’টি বাস পর পর গাড়িতে ধাক্কা মারে। কৈথল রোডওয়েজের একটি বাস প্রথমে একটি ডাম্পার ট্রাককে ধাক্কা মারে। সেই বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার আগে, দ্বিতীয় একটি বাস এসে সজোরে ধাক্কা খায় ওই বাস ও ডাম্পারটিতে। এর পর একটি গাড়ি, মোটর সাইকেলও ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়। ওলটপালট হয়ে যায় সবকিছু। (Haryana Car Pile Ups)

ঘটনাস্থল থেকে যে ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে একটি গাড়িকে আর একটি গাড়ির উপর উঠে থাকতে দেখা গিয়েছে। ডাম্পারের নীচের অংশে ঢুকে গিয়েছে একটি এসইউভি গাড়ির সামনের অংশ। এতে শতাধিক মানুষ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। কোনও প্রাণহানি না ঘটলেও মোটর সাইকেল চালক গুরুতর আহত হয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। 

Continues below advertisement

অন্য দিকে, রেওয়ারিতে, ৩৫২ নং জাতীয় সড়কের উপরও বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। দৃশ্যমানতা কম থাকায় তিন-চারটি বাসের মধ্য়ে তীব্র সংঘর্ষ বাঁধে। অনেকেই আহত হয়েছেন এই ঘটনায়। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আহতদের। 

ঘটনাস্থল থেকে যে ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, প্রথম বাসটির সামনের অংশ একেবারে ভেঙে গিয়েছে, উন্মুক্ত হয়ে গিয়েছে ভিতরের অংশ। 

গত কয়েক দিন ধরে শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে হরিয়ানা। ঘন কুয়াশার প্রকোপও রয়েছে সেখানে। অধিকাংশ জেলাতেই তাপমাত্রা একধাক্কায় ৪-৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গিয়েছে। 

ভারতীয় মৌসব ভবন হরিয়ানায় শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে। দৃশ্যমানতা কম থাকবে বলেও জানানো হয়েছে, যাতায় রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় সতর্কতা অবলম্বন করা যায়, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা যায়। তবে রবিবার সকালেই নয় শুধু, একদিন আগেও নয়ডা এক্সপ্রেসওয়েতে তীব্র সংঘর্ষ বাঁধে প্রায় একডজন গাড়ির মধ্যে। ট্রাকের নীচে ঢুকে যায় গাড়ি।

এমন পরিস্থিতিতে গৌতম বুদ্ধ নগর ট্রাফিক পুলিশ শনিবারই গুরুত্বপূর্ণ হাইওয়েগুলিতে গতির সীমা বেঁধে দেয়। ১৫ ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গতির নতুন সীমা কার্যকর থাকবে। যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে হালকা গাড়ির জন্য ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭৫ কিলোমিটার এবং ভারী গাড়ির জন্য ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতি বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নয়ডা-গ্রেটার নয়টায় এই সীমা যথাক্রমে ঘণ্টায় ৭৫ এবং ৫০ কিলোমিটার।