নয়াদিল্লি: ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার মধ্যে একজন সত্যিকারের সাহসী,নির্ভীক নেত্রীর পরিচয় পাচ্ছেন কংগ্রেস কর্মীরা। চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন তাঁরা। কারণ যিনি সত্যিকারের নেত্রী, তিনি তো সামনে দাঁড়িয়ে লড়বেন। এ ক্ষেত্রে ঘটল সেটাই। উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে দলিত তরুণী ধর্ষণ কাণ্ডে বিজেপি-বিরোধিতায় আক্ষরিক অর্থেই প্রিয়ঙ্কাকে পাওয়া গেল ড্রাইভারের সিটে। দাদা রাহুল গাঁধীকে পাশে বসিয়ে গাড়ি চালালেন যেমন, তেমনই শনিবার পুলিশের লাঠির আঘাত থেকে কংগ্রেস কর্মীকে বাঁচাতে ভিড়ের মধ্যে ঝাঁপিয়েও পড়লেন।কংগ্রেস কর্মীকে বাঁচাতে তাঁর ঝাঁপিয়ে পড়ার ভিডিয়ো হাতে হাতে ঘুরছে।


শনিবার হাথরাসে মৃত দলিত তরুণীর বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ও উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা। সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস কর্মীরা। দিল্লি-নয়ডা ডাইরেক্ট ফ্লাইওভারের টোল প্লাজা পেরনোর পর কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের একদফা সংঘর্ষ হয়। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সাদা কুর্তা পরা এক ব্যক্তিকে পুলিশ লাঠি দিয়ে মারছিল। সেই দেখে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন প্রিয়ঙ্কা। গাঢ় নীল কুর্তা ও সাদা মাস্ক পরা নেত্রী লাফিয়ে পেরিয়ে যান একটি হলুদ ব্যারিকেড। তারপর লোকটিকে আড়াল করে দাঁড়ান। তাঁকে রাস্তার ধারে বসান। পুলিশ যাতে আর না মারতে পারে, সেজন্য তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এরপর দলের ক্যাডাররা ছুটে এসে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন। রাস্তার এক পাশে তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যান সকলে মিলে। তারপর চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় তাঁকে। পুলিশের লাঠিতে আহত হয়েছিলেন তিনি। প্রিয়াঙ্কা রক্ষা না করলে আরও কঠিন অবস্থা হতো তাঁর।