নয়া দিল্লি: সিবিআই-এর (CBI) হাতে গ্রেফতার ভিডিওকন কর্তা। ব্যাঙ্ক প্রতারণাকাণ্ডে ধৃত বেণুগোপাল ! ভিডিওকন কর্তা বেণুগোপাল ধুতকে ( Videocon Chairman Venugopal Dhoot) গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। উল্লেখ্য, এর আগে ইতিমধ্যেই একাধিক প্রতারণাকাণ্ডের পর্দাফাঁস করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর এবার ব্যাঙ্ক প্রতারণার জেরে ভিডিওকন কর্তাকে গ্রেফতার করল সিবিআই।
গোটাদেশেই বাইশের শুরুতেও একটি বড়সড় প্রতারণার ঘটনা ঘটে। বিদেশের ইতিহাসে বৃহত্তম ব্যাঙ্ক প্রতারণার পর্দাফাঁস। নীরব মোদির পর এবার গুজরাতেই (Gujrat) বৃহত্তম ব্যাঙ্ক প্রতারণার অভিযোগ। অভিযুক্ত এবিজি শিপইয়ার্ড। অভিযোগ, SBI, ICICI-সহ ২৮টি ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের থেকে বিপুল অঙ্কের ঋণ নেয় গুজরাতের এই সংস্থা। প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। এবিজি শিপইয়ার্ডের প্রাক্তন এমডি-সহ একাধিক আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে সিবিআই (CBI)। সংস্থার সুরাত, ভারুচ, মুম্বইয়ের ১৩টি অফিসে অভিযান চালায় তারা। তবে সারা দেশের পাশাপাশি, একাধিক প্রতারণার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে পশ্চিমবঙ্গেও।
অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা ঘটনা ঘটে পশ্চিমবঙ্গেও! মূল চক্রী দুবাই থেকে দেশে ফিরতেই গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) সাইবার শাখা। ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় আনা হবে। আন্তর্জাতিক ঋণ-প্রতারণাচক্রে মোট কতজন জড়িত, তদন্তে লালবাজার। ই-নাগেটস মোবাইল গেমিং অ্যাপ প্রতারণাকাণ্ডের পর আর একটি প্রতারণার ঘটনায় প্রকাশ্যে এল দুবাই যোগ। অ্যাপ ডাউনলোডের অছিলায় ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে ব্ল্যাকমেল। দুবাইয়ে বসে ভারতে কোটি কোটি টাকার জালিয়াতি! ঋণ অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। ধৃত সনিয়া খারাতমল মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা হলেও, মাস ছয়েক ধরে দুবাইতে ছিলেন।
আরও পড়ুন, বামেদের কাছে ৬-০ হারল তৃণমূল, হাই মাদ্রাসা ভোটে হার ঘাসফুলের
পুলিশ সূত্রে দাবি, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সবচেয়ে জনবহুল শহরে বসে ভারতে প্রতারণার বিশাল কারবার ফেঁদেছিলেন সনিয়া। কীভাবে অপারেশন চালাতেন তরুণী?পুলিশ সূত্রে খবর,সহজে ঋণের টোপ দিয়ে মোবাইল ফোনে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হত। ওই অ্যাপ ডাউনলোড করলেই মোবাইল ফোন থেকে হাতিয়ে নেওয়া হত যাবতীয় তথ্য। তারপর মোটা টাকা চেয়ে চলত ব্ল্যাকমেল। টাকা না দিলে, ছবি বিকৃত করে, সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে বদনাম করার হুমকি দেওয়া হত। পুলিশ সূত্রে দাবি, এভাবেই কয়েক মাসে কোটি কোটি টাকা আদায় করেছিলেন এই তরুণী।