নয়াদিল্লি: ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত দেশে কত সংখ্যক ভ্যাকসিন মজুত রয়েছে তা জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। এদিন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এবিষয়ে হলফনামা পেশ করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। দেশের শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র জানিয়েছে, কোভিশিল্ড সম্ভাব্য ৫০ কোটি, কোভ্যাক্সিন সম্ভাব্য ৪০ কোটি মজুত রয়েছে। এছাডাও বায়ো ই সাব ইউনিট ভ্যাকসিন ৩০ কোটি মজুতের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। পাশাপাশি কেন্দ্র জানিয়েছে, স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন মজুতের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে ১০ কোটি।


উল্লেখ্য, চলতি বছর ১৬ জানুয়ারি দেশজুড়ে টিকাকরণ শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুমোদন দেওয়া হয় সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিনকে। বর্তমানে স্পুটনিক ভি ব্যবহারেও ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর পাশাপাশি শিশুদের উপরও কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে দিল্লি এবং পটনার এইমসে। নোভাভ্যাক্সের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কোভোভ্যাক্স ভ্যাকসিন তৈরি করছে সিরাম। যদিও এই টিকা ব্যবহারে এখনও ছাড়পত্র দেয়নি কেন্দ্র। এদিকে দেশজুড়ে টিকাকরণের গতিপ্রকৃতি নিয়ে গতকালই বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল, শনিবার করোনা টাস্কফোর্স ও পিএমও-র আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদি। সূত্রের খবর, ডিসেম্বরের আগেই দেশে সবার টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, টিকাকরণে নতুন গতি দিতে চাইছে কেন্দ্র। এদিকে জানুয়ারিতে দেশজুড়ে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর এপর্যন্ত ৩২,১৭ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া গেছে। টিকাকরণের হার নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকালের বৈঠকের পর একথা জানানো হয় তাঁর অফিস থেকে।


উল্লেখ্য, ২১ জুন থেকে বিনামূল্যে গণটিকাকরণে শুরু হয়েছে দেশে। একদিনে ৮৬ লক্ষের বেশি মানুষকে একদিনে ভ্যাকসিন দিয়ে রেকর্ড গড়েছে ভারত। আজ, রবিবার মন কি বাত অনুষ্ঠানে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, “একদিনে করোনার টিকাকরণে রেকর্ড ভারতের। অনেকের মনে প্রশ্ন ছিল, এত ভ্যাকসিন কোথা থেকে কীভাবে আসবে। সেটাই করে দেখিয়েছে আমাদের দেশ।“