নয়াদিল্লি: সমকামী বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বরং কেন্দ্রীয় সরকারের কোর্টে বল ঠেলা হয়েছে। আইন এনে এ ব্যাপারে কেন্দ্রকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। আদালতের ওই নির্দেশের ছ’মাসের মাথায় বিষয়টি নিয়ে তৎপর হল কেন্দ্র। ছয় সদস্যের একটি কমিটি গড়ল কেন্দ্র। সমকামী, উভকামী, রূপান্তরকামী, বহুকামী থেকে নিষ্কামী মানুষদের বৈষম্যের হাত থেকে রেহাই দিতে কী পদক্ষেপ করা যায়, তাঁদের সরকারি প্রকল্পের আওতায় কী কী সুবিধা দেওয়া যায়, তা পর্যালোচনা করে দেখবে ওই কমিটি। (LGBTQ Committee)


গত ১৭ অক্টোবর কেন্দ্রকে বিশেষ কমিটি গড়ে LGBTQ+ মানুষদের বিভিন্ন সমস্যাগুলি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই মতোই ছয় সদস্যের কমিটি গড়ল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সচিব ওই কমিটির চেয়ারপার্সন। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সচিব, নারী এবং শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের সচিব, স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সচিব, আইন মন্ত্রকের সচিব এবং সামাজিক ন্যায় এবং ক্ষমতায়ন বিভাগের সচিব ওই কমিটিতে রয়েছেন।


কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, LGBTQ+ মানুষদের যাতে সমাজে কোনও বৈষম্যের শিকার না হতে হয়, সরকারি প্রকল্পের আওতায় সবরকম সুযোগ-সুবিধা পান যাতে তাঁরা, দেশের কোথাও যাতে হিংসা, হেনস্থার শিকার না হতে হয় তাঁদের, কেউ যাতে তাঁদের উপর জোর খাটাতে না পারে, তার জন্য কী উপায় বের করা যেতে পারে খতিয়ে দেখবে ওই কমিটি।


আরও পড়ুন: Salman Khan House Firing: সলমন খানের বাড়ির সামনে গুলি চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার ২


শুধু সামাজিক বা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেই নয়, স্বাস্থ্য পরিষেবা পেতেও অনেক সময় হেনস্থার শিকার হতে হয় LGBTQ+ মানুষদের। তাঁদের চিকিৎসা বা অস্ত্রোপচার করতে রাজি হন না অনেকে। তাই সরকারের সমাজ কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির আওতায় তাঁরা যাতে সবরকম সুযোগ-সুবিধা পান, কোনও রকম অসুবিধের মুখে যাতে পড়তে না হয় তাঁদের, তা সুনিশ্চিত করাই লক্ষ্য ওই কমিটির।


বিবাহের অধিকার থেকে সমলিঙ্গের যুগলদের বঞ্চিত করা যায় না বললেও, সমলিঙ্গের বিবাহের আইন স্বীকৃতি দেওয়ার পথে এগোয়নি সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালত জানায়, সমকামী যুগলদের অধিকার এবং প্রাপ্য নিয়ে কমিটি গড়তে হবে কেন্দ্রকেই।  প্রাতিষ্ঠানিক সীমাবদ্ধতার জন্য আইন তৈরি বা পাল্টানোর অধিকার নেই শীর্ষ আদালতের। তাই কেন্দ্রকেই বিষয়টি নিয়ে এগনোর নির্দেশ দেওয়া হয়।