নয়াদিল্লি: বিশ্বের (world) নানা প্রান্তে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে নভেল করোনাভাইরাস (novel coronavirus)। ভারতে এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু ভবিষ্যতে ছবিটা যাতে হাতের বাইরে না বেরিয়ে যায়, সে জন্য প্রত্যেক রাজ্য (state) ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে (UT) জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের (genome sequencing) সংখ্য়া বাড়াতে নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার (centre)। গত কালই এই মর্মে নোটিস জারি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। লেখা, 'গোটা বিশ্বে ফের প্রতি সপ্তাহে ৩৫ লক্ষ নতুন করোনা-আক্রান্তের হদিশ মিলছে।' জাপান, আমেরিকা, চিনের মতো দেশের ভয়ঙ্কর ছবি দেখে এখন থেকেই সতর্ক হতে চায় নয়াদিল্লি।


কী বলছে কেন্দ্র?
ওই নোটিসে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে মনে করানো হয়েছে যে, জাপান, আমেরিকা, কোরিয়া, চিন, ব্রাজিলের মতো দেশে হঠাৎ ফের করোনা-আক্রান্তের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে। কার্যত কোভিড-অতিমারির চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কায় দুলছে এই দেশগুলি। এমন অবস্থায় একচুলও ঢিলেমি দিতে চায় না ভারত। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সরকারের কাছে স্বাস্থ্য়মন্ত্রকের তাই বার্তা, কোভিড-পজিটিভ সমস্ত নমুনার যাতে জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। এর ফলে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্টের হদিস পাওয়া সহজ হবে। জনস্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আগেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা যাবে, লিখেছেন ভূষণ। এই জন্য সমস্ত কোভিড-পজিটিভ নমুনা INSACOG Genome Sequencing Laboratories (IGSLs) পাঠাতে বলা হয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব এও মনে করিয়েছেন যে ভারত তার পাঁচ দফা নিয়ম অনুসরণ করে করোনার বাড়বাড়ন্ত রোধে সফল হয়েছে। এই মুহূর্তে দেশে নতুন আক্রান্তের সাপ্তাহিক গড় ১২০০, জানান ভূষণ। ছবিটা যাতে আর না বিগড়োয় সেটা মাথায় রাখতেই বার্তা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবের। 


কী ছবি ভারতের?
মঙ্গলবার সকালের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য়মন্ত্রকের সাইটে যে কোভিড বুলেটিন প্রকাশিত হয়েছে, তাতে জানা যায় গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে নতুন করে ১১২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এই মুহূর্তে মোট চিকিৎসাধীন আক্রান্তের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪৯০-এ। গত একদিনে কোভিডে মৃতের সংখ্যা তিন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৩০ হাজার ৬৭৭। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত দেশের করোনা-ছবি উদ্বেগজনক নয়। তবে ভবিষ্য়তেও যাতে তা এরকমই থাকে, সে জন্য় আগাম তোড়জোড় শুরু করল কেন্দ্র।           


আরও পড়ুন:বড়দিনের আগেই শীত গায়েব?