পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই কড়া নজর কেন্দ্রের। সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ভারত বিরোধী প্রচার করা একাধিক কন্টেন্ট ক্রিয়েটরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পাকিস্তানের সপক্ষে গলা তোলা বা অপারেশন সিঁদুর নিয়ে কুৎসা করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয় কড়া পদক্ষেপ। এবার আরও সতর্ক কেন্দ্রীয় সরকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারত-বিরোধী কন্টেন্ট ছড়ানো লোকেদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে চলেছে সরকার। ভারতের মাটিতে বসে, ভারতের বিরুদ্ধে কুৎসা করা ব্যক্তিদের আর ছেড়ে কথা বলবে না সরকার। দেশের বিরুদ্ধে "বিদ্বেষ" ছড়াতে পারে এমন ভিডিও বা পোস্ট তৈরি বা শেয়ার করলে এবার কড়া পদক্ষেপ করবে সরকার। তাদের আর রেহাই দেওয়া হবে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই ধরনের কার্যকলাপ মোকাবিলায় একটি নতুন নীতি তৈরি করছে।
সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলিতে আরও কড়া নজর রাখা হবে। রাষ্ট্রবিরোধী পোস্ট করলে বা শেয়ার করলে কপালে অসীম দুর্গতি। ওই নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টগুলোকে ব্লক তো করা হবেই, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। সাইবার বিশেষজ্ঞ ও তদন্তকারীরা খেয়াল করেছেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ভারতবিরোধী বার্তা ছড়াতে শুধু সোশ্যাল মিডিয়া নয়, ব্যবহার করা হচেছে বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইটও। খুব শীঘ্রই দেশজুড়ে এর বিরুদ্ধে তৎপর হবে পুলিশ। অভিযান চালানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। নতুন সোশ্যাল মিডিয়া নীতি তৈরি হতে পারে।
বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটিকে শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বিস্তারিত জানিয়েছেন। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিও ভারতবিদ্বেষী কনটেন্ট বানাচ্ছে ও সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করছে তা প্রচারের জন্য। এই ধরনের কার্যকলাপ কারা করছে, কোথা থেকে হচ্ছে, সবটাই দেখছেন গোয়েন্দারা। এখনও পর্যন্ত "রাষ্ট্রবিরোধী" কন্টেন্ট-এর সংজ্ঞা কী হবে, তা স্পষ্ট করা হয়নি। তবে তা শীঘ্রই জানাতে পারে কেন্দ্র।
সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে অমিত শাহকে চিঠি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
এর মধ্যে আবার সোশাল মিডিয়ায় ভুয়ো তথ্য় ছড়ানো এবং সাইবার ক্রাইম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, বর্তমানে সোশাল মিডিয়ায় ভুয়ো ভিডিও, বিভ্রান্তিকর তথ্য় ছড়ানো হচ্ছে। তাতে সমাজের একাংশের মধ্যে আগ্রাসী মানসিকতা তৈরি হচ্ছে, অপরাধের প্রবণতা বাড়ছে। তাঁর দাবি, এই ধরনের তথ্য়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত হতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে এই ধরনের ঘটনা রুখতে প্রয়োজনীয় আইন তৈরি এবং পদক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন