নির্ভয়া মামলার অপরাধীদের ফাঁসিতে ঝোলাতে দেরি হচ্ছে কেন, কারণ খুঁজতে শীর্ষ আদালতকে অনুরোধ কেন্দ্রের

শীর্ষ আদালতই বলেছিল, অপরাধী যখন তার ভবিষ্যৎ জেনে গিয়েছে তখন মৃত্যুদণ্ড পিছিয়ে দেওয়া অমানবিক, মনে করিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।

Continues below advertisement
নয়াদিল্লি: মৃত্যুদণ্ড জারির ৭ দিনের মধ্যে অপরাধীদের ফাঁসি দিতে হবে। এই রায় দেওয়ার অনুরোধ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল কেন্দ্রীয় সরকার। নির্ভয়া গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার অপরাধীদের সাজা দিতে বছরের পর বছর দেরি হওয়ার প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতে গেল তারা। নির্ভয়া মামলার ৪ সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী বিনয় শর্মা, অক্ষয় সিংহ, মুকেশ সিংহ ও পবনের ফাঁসির দিন নির্ধারিত ছিল গতকাল অর্থাৎ ২২ জানুয়ারি। কিন্তু একের পর এক পিটিশনের জেরে দিল্লির একটি আদালত ফাঁসির দিন পিছিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি করে। কেন্দ্র বলেছে, এই মুহূর্তে সব থেকে প্রয়োজন, যাঁরা ঘৃণ্য অপরাধের শিকার হয়েছেন তাঁদের কথা মাথায় রেখে নিয়মনীতি নির্ধারণ করা, অপরাধীদের অধিকারের কথা এখন ভাবা নিষ্প্রয়োজন। ধর্ষণ ও হত্যার মত নির্মম, ঘৃণ্য ও পাশবিক অপরাধ যারা করেছে তারা যাতে আইন নিয়ে খেলা করার সুযোগ না পায় ও তাদের অপরাধের সাজার দিন পিছোতে না পারে তা নিশ্চিত করা জরুরি। ২০১৪-র ২১ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী বা তাদের পরিবারের লোকজন অথবা কোনও মানবাধিকার সংগঠনের দয়াভিক্ষার আবেদন সংক্রান্ত বিষয়ে অপরাধীদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে কিছু নিয়ম স্থির করে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছে, কিন্তু ওই নিয়ম জারি করার সময় যাঁরা ওই অপরাধীদের কার্যকলাপের শিকার হয়েছেন, তাঁদের ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের মানসিক অবস্থা ও যন্ত্রণার কথা মাথায় রাখা হয়নি। ভাবা হয়নি গোটা দেশের বিবেক ও কোন পরিস্থিতিতে মৃত্যুদণ্ড দিতে বাধ্য হওয়া হয় সে কথা। শীর্ষ আদালতই বলেছিল, অপরাধী যখন তার ভবিষ্যৎ জেনে গিয়েছে তখন মৃত্যুদণ্ড পিছিয়ে দেওয়া অমানবিক, মনে করিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।
Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola