নয়াদিল্লি: নোভেল করোনাভাইরাস অতিমারীর আঘাতে ধাক্কা খেয়েছে অর্থনীতি। ভাঁড়ারের ওপর চাপ সামলাতে গতকালই কেন্দ্রীয় কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধি ২০২১ এর জুলাই পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে মোদি সরকার। এর প্রভাব পড়বে অর্থাত আর্থিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন প্রায় ৫০ লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী, ৬১ লক্ষ পেনসনভোগী।
কংগ্রেস পাল্টা বলেছে, অপ্রয়োজনীয়, আজেবাজে খরচ হ্রাস না করে সরকার নিজের কর্মীদের আঘাত করছে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় অর্থ সঞ্চয়ের জন্য সরকার ৩০ শতাংশ জাঁকজমক, আড়ম্বরের পিছনে খরচ বন্ধ করুক, সেন্ট্রাল ভিস্টা, বুলেট ট্রেন প্রকল্প স্থগিত রাখুক। রাহুল ট্যুইট করেছেন, বহু কোটি টাকার বুলেট ট্রেন ও সেন্ট্রাল ভিস্টা সৌন্দর্য্যায়ন প্রকল্প স্থগিত না রেখে কেন্দ্রীয় কর্মী, পেনশনার, জনতার সেবা করা জওয়ানদের ডিএ ছাঁটাইয়ের সরকারি সিদ্ধান্ত অসংবেদনশীল, অমানবিক।


কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের অর্ডারে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এর ফলে উদ্ভূত সঙ্কটের প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ২০২০-র ১ জানুয়ারি থেকে প্রাপ্য কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ ও কেন্দ্রীয় সরকারি পেনশনারদের ডিয়ারনেস রিলিফ (ডিআর) দেওয়া হবে না। ২০২০-র ১ জুলাই ও ২০২১ –এর ১ জানুয়ারি থেকে অতিরিক্ত কিস্তির ডিএ, ডিআরও দেওয়া হবে না। যদিও বর্তমান হারে ডিএ, ডিআর যথারীতি প্রদান করা হবে।
গত মার্চে ৪ শতাংশ বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের ২১ শতাংশ ডিএ ধার্য্য় করায় অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
সরকারের বক্তব্য, কোভিড-১৯ সংক্রমণের ধাক্কায় সমাজের প্রান্তিক অংশের জন্য আর্থিক সহায়তার পিছনে বরাদ্দ ঠিক করতে গিয়ে কর বাবদ প্রাপ্ত রাজস্বের ভাঁড়ারে টান পড়তে চলেছে।
সম্ভবত, এটাই কেন্দ্রীয় কর্মী, পেনসনভোগীদের ওপর করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতির জেরে প্রথম আর্থিক কোপ। এর আগে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী ও সাংসদদের বেতন ৩০ শতাংশ হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি সাংসদদের কেন্দ্র বাবদ এমপিল্যাড প্রকল্পও দুবছরের জন্য স্থগিত থাকছে যাতে করোনাভাইরাস অতিমারীর মোকাবিলায় আরও তহবিলের বন্দোবস্ত হয়। সব মিলিয়ে এই প্রকল্প থেকে প্রায় ৮০০০ কোটি টাকা আসবে।