দেওরিয়া (উত্তরপ্রদেশ) : আরও একবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিজয়ী ভারত। গোটা দেশ উচ্ছ্বাসে ভাসছে। কিন্তু, এরই মধ্যে এক কিশোরীর মৃত্যু ঘিরে শুরু হয়েছে চর্চা। যার সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল ম্যাচের প্রসঙ্গ উঠে আসছে।
কিন্তু ঘটনাটা কী ?
রবিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বছর ১৪-এর এক কিশোরীর। সে উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ার বাসিন্দা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য অনুযায়ী, আইনজীবী অজয় পাণ্ডের মেয়ে প্রিয়াংশী পাণ্ডে। পরিবারের সঙ্গে বসে ফাইনাল ম্যাচ দেখছিল। টিম ইন্ডিয়ার জন্য গলা ফাটাচ্ছিল। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, বিরাট কোহলি যখন এক রানে আউট হয়ে যান, প্রিয়াংশী খুব হতবাক হয়ে যায়। শক পায়। সঙ্গে সঙ্গে মূর্ছা যায় এবং ঘটনাচক্রে হার্ট অ্যাটাক হয় তার। পরে চিকিৎসক নিশ্চিত করেন, হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবার ও এলাকায়।
যদিও সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভিকে প্রিয়াংশীর বাবা ও প্রতিবেশী প্রকৃত ঘটনাটা জানান। অজয় পাণ্ডে জানিয়েছেন, ম্যাচের প্রথম ইনিংস দেখার পর তিনি বাজারে গিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হওয়ার পর পরিবারের বাকিদের সঙ্গে তাঁর মেয়েও খেলা দেখা শুরু করে। হঠাৎ প্রিয়াংশী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরিবারের সদস্যরা সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি তাঁকে জানান। তিনি তৎক্ষণাৎ বাড়ি ফিরে আসেন এবং মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যান। দ্রুত চিকিৎসার উদ্যোগ সত্ত্বেও, প্রিয়াংশীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রিয়াংশীর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করাননি তার বাবা। পরিবর্তে, দেহ বাড়ি ফিরিয়ে আনেন এবং শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন। তিনি এই মত উড়িয়ে দিয়েছেন যে, তাঁর মেয়ের মৃত্যুর সঙ্গে ক্রিকেট ম্যাচের সম্পর্ক আছে। তাঁর মতে, মেয়ের মৃত্যুর সঙ্গে ম্যাচের কোনও সম্পর্ক নেই।
একই কথা বলেছেন তাঁদের প্রতিবেশী অমিত চন্দ্র। তিনি জানান, যখন ঘটনাটি ঘটে তখন তিনি প্রিয়াংশীদের বাড়ির বাইরেই ছিলেন। ঘটনাটা কী ঘটেছে তা তিনি দেখেছেন। যখন প্রিয়াংশীর হার্ট অ্যাটাক হয়, তখন ভারতীয় ক্রিকেট দল খারাপ অবস্থায় ছিল না। সেই সময় টিম ইন্ডিয়া কোনও উইকেটও হারায়নি এবং বিরাট কোহলিও ব্যাট করতে নামেননি।
প্রসঙ্গত, দুবাইয়ে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে নেয় টিম ইন্ডিয়া। দলগত পারফরম্যান্সে ভর করে ফের সাফল্যের চূড়ায় রোহিত শর্মা ব্রিগেড।