মহাজ্ঞানী চাণক্য রাজনীতি, কূটনীতি, অর্থনীতি, রণনীতি-সহ নানা বিষয়ে পন্ডিত ছিলেন। জীবনে তিনি উত্থান-পতন, সুসময়-মন্দ সময় সবই দেখেছেন।তাই দুঃসময়ের মধ্যে পড়লে কেমন করে ধৈর্য্য ধরে তার থেকে বেরিয়ে আসা যেতে পারে সে সম্পর্কে তিনি দিশা দিয়েছিলেন।তাঁর সেসব বাণী রয়ে গিয়েছে চাণক্য নীতি-কথায়। কয়েকশো বছর পার হয়ে যাওয়ার পরেও তাঁর কথার তাৎপর্য বেড়েছে বই কমেনি। তাঁর পরামর্শগুলো শুনলে আজও মনে হয় কি ভীষণ সমসাময়িক। সব মানুষে জীবনে নানা সমস্যার মধ্যে পড়ে যান হঠাৎ করে। কেমন করে সেই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসা যায় সে সম্পর্কে চাণক্য-র উপদেশগুলোর দিকে একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যেতেই পারে।
সাহস হারালে চলবে না
বিপদের সময়েও সাহস মনের মধ্যে ধরে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চাণক্য। তাঁর মতে, সব মানুষের জীবনেই এক-আধটা খারাপ সময় আসে। কিন্তু খারাপ সময়েও যে ব্যক্তি সাহস হারান না এবং উঠে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করেন, তাঁদেরকেই মানুষ মনে রাখে। বিপদের সময়েও নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রেখে, সাহস ধরে রেখে লড়াই চালাতে হবে।
সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা
শত্রু যখন যুদ্ধে সক্রিয় রয়েছে তখন নিজের অবস্থা খারাপ থাকলেও ঠান্ডা মাথায়, মনোযোগের সঙ্গে নিজের রণনীতি সাজাতে হবে। ক্রিয়ার উত্তরে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে অনেক সময় ক্ষতি হয়ে যায়। তাই নিজের অবস্থা খারাপ থাকলেও সেই সময়ে শত্রুর উপর হামলা না করে সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।খারাপ সময়টা কেটে যাবে। তখন হামলা করতে হবে। কিন্তু এই হামলার পরিকল্পনা খারাপ সময়ের মধ্যে বসেই সেরে ফেলতে হবে।
ভুল ধারণা থেকে সাবধান
অনেক সময়ই কোনও ক্ষতিকারণ ব্যক্তি সম্পর্কে আমাদের আগে থেকে ধারণা থাকে না। আপাতভাবে লোকটি হয়ত ভালো। তাই ভুল ধারণা তৈরি হয়ে যায়। কাজের ক্ষেত্রে কারও সঙ্গে কোনও দরকারি সম্পর্ক তৈরি করতে হলে উক্ত ব্যক্তির সম্পর্কে আগে থেকে ভালো করে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
পরিশ্রম চালিয়ে যেতে হবে
ভাল সময় হোক কিংবা খারাপ, পরিশ্রম সমস্ত সময়েই চালিয়ে যেতে হবে, এমনই পরামর্শ দিচ্ছেন চাণক্য। পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে আমাদের মধ্যে সাফল্য অর্জনের শক্তি জমা হয়। যারা পরিশ্রম না করে আলস্যের দিন কাটায়, তারা নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়।আজকের কাজ আজই করতে হবে, কালকের জন্য ফেলে রাখা চলবে না।