সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: আলোর শহর চন্দননগর। তার শিল্পের খ্যাতি জগতজোড়া। সেই হুগলির চন্দননগরেই অন্ধকারের মুখে রাজ্য সরকারের আলো হাব!
প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রায় ১৪ কোটি ৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে, চন্দননগর কেএমডিএ পার্কের ভিতর তৈরি হয়েছে এই আলো হাব। কলকাতা থেকে ভার্চুয়ালি সেই হাবের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনতলা ভবনে রয়েছে ৬০টি ওয়ার্কশপ রুম। যেখানে বসে কাজ করতে পারবেন শিল্পীরা। রয়েছে ট্রেনিং নেওয়ার ব্যবস্থা। সূত্রের খবর, আলো হাবে, দোকান পাওয়ার জন্য, ২৫ হাজার টাকা ডিপোজিট মানি, ৩ বছরের জন্য দুলক্ষ টাকা ভাড়া যাওয়া হয়েছে।
শিল্পীদের দাবি, হাবের দোকান ভাড়া, কিংবা ডিপোজিট মানি দেওয়ার সামর্থ্য তাঁদের নেই। তাছাড়া করোনা আবহে, একবছরে বিপুল মার খেয়েছে লাইটিংয়ের কাজ। এই পরিস্থিতিতে, আলো হাব বয়কটের ডাক দিয়েছেন শিল্পীরা। আলোশিল্পীদের অসন্তোষ নিয়ে শাসকদলকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানকারী উত্তরপাড়ার বিধায়ক।
বিজেপি নেতা ও উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল জানান, ‘‘তাঁদের কারখানা এবং গুদাম নিজস্ব আছে ৷ তারপরেও কেন তাঁরা দু’লক্ষ টাকা দিয়ে তারা গুনবে সেই বিষয়েই মন্তব্য করেন প্রবীর ঘোষাল। তাঁর বক্তব্য, আলোক শিল্পীর নামে ধাপ্পা দেওয়া হচ্ছে। শিল্পীদের যাত্রাপালা জানি প্রশাসনের কোন বিষয়ে জানার দরকার নেই। যাদের জানার দরকার আলোক শিল্পীদের তারা ইতিমধ্যেই সেই কারণেই বয়কট করেছে। এটা সম্পূর্ণ ধাপ্পাবাজি অহেতুক টাকা নেয়ার ফন্দি এঁটেছে প্রশাসন।’’
হুগলির তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘বিজেপি ভুলভাল বোঝাচ্ছে। এটা করছে। আমরা সবরকম সহযোগিতার জন্য তৈরি ৷’’ তবে, এবিষয়ে স্থানীয় বিধায়ক ও প্রশাসনের কেউ মুখ খুলতে চাননি। আলো হাব কবে জীবনে প্রকৃত আলো নিয়ে আসবে, তারই প্রতীক্ষায় রয়েছেন শিল্পীরা।