নয়াদিল্লি : হাতের মুঠোয় চাঁদ (Moon)। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছাকাছি অঞ্চলে সফলভাবে অবতরণ করেছে চন্দ্রযান-৩-এর (Chandrayan 3)। বিশ্বের মহাকাশ বিজ্ঞানের (Space Science) ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচনা করেছে ভারত (India)। চন্দ্রবক্ষে অশোক স্তম্ভ ও ইসরোর প্রতীক এঁকে দিয়েছে রোভার। সফলভাবে অবতরণের ঠিক আগে বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদের বুকে চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রমের (Lander Vikram) সফট ল্যান্ডিং-এর সময় প্রচুর ধুলো উড়তে শুরু করে। কোটি কোটি দেশবাসী যখন অধীর আগ্রহে ইতিহাস তৈরি অপেক্ষায় তাকিয়েছিলেন বিক্রমের দিকে, তখন বিক্রমের চোখে ঠিক কী ধরা পড়েছে ? চাঁদের দেশে পা রাখার ঠিক আগের মিনিট দুয়েকের এক ভিডিও ফুটেজ বৃহস্পতিবার সন্ধেয় প্রকাশ করেছে ইসরো (ISRO) ।
ল্যান্ডার বিক্রমের গতি কমিয়ে চাঁদের পৃষ্ঠে নামার ঠিক আগে দেখা গিয়েছে এবড়ো-খেবড়ো এক অজানা জায়গার ছবি। যত নিচের দিকে নামতে থেকেছে বিক্রম ততই যেন বাড়তে থেকেছে গর্তের পরিমাণ। ঠিক যে মুহূর্তে নামে বিক্রম সেই সময় উড়তে শুরু হয় প্রবল ধুলো। চাঁদে পৃথিবীর তুলনায় মাধ্যাকর্ষণ ৬ গুণ কম বলে ধূলিকণা পৃথিবীর মতো দ্রুত সেখানে থিতু হয় না বা জমে যায় না। তার জন্য অপেক্ষা করতে হয় বিজ্ঞানীদের (Scientists)। আড়াই ঘণ্টা পর থামে ধুলোর ঝড়। ততক্ষণ বিশ্রামে ছিল বিক্রম। ঝড় থামতেই তার পেটের ভিতর থেকে চাঁদের বুকে নেমে আসে রোভার প্রজ্ঞান (Rovar Pragyan)। তার চাকায় খোদাই করা থাকা অশোক স্তম্ভ ও ইসরোর প্রতীকের আঁকা হয়ে যায় চাঁদের মাটিতে।
২২ বছর আগে, ২০০১-এ চন্দ্রযান ১ (Chandrayan) যে ছবি তুলেছিল, তাতেই জানা গিয়েছিল চাঁদের বুকে জলের অস্তিত্ব রয়েছে। এক-দু’ লিটার নয়, চাঁদে ৬০ হাজার কোটি লিটার জলীয় বরফ রয়েছে। এই বরফ ভেঙে মিলবে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন। এই অক্সিজেন আগামী দিনে চাঁদে জনপদ গড়তে গেলে কাজে লাগবে। এছাড়াও, চাঁদে অফুরন্ত খনিজ ভাণ্ডার রয়েছে। রয়েছে হিলিয়াম থ্রি। যা শক্তি উৎপাদন করতে পারে।
আরও পড়ুন- চাঁদের মাটিতে ইতিহাস গড়েছে ভারত, উদযাপন গুগল ডুডলে, দেখুন সেই চমৎকার ভিডিও
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন