বেঙ্গালুরু : দুর্নীতি মামলায় আজই হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন । তারপরই নিজের শহর দেবনগরীতে কর্ণাটকের (Karnataka) বিজেপি বিধায়ক মাড়াল বিরুপক্ষপ্পাকে (Channagiri MLA Madal Virupakshappa) বীরের মর্যাদা দিয়ে স্বাগত জানানো হল। ৪০ লক্ষ টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়ায় আর চার জন-সহ গ্রেফতার হন বিধায়ক পুত্র। এরপরই গত পাঁচ দিন ধরে 'নিখোঁজ' ছিলেন বিধায়ক।
আগাম জামিন পাওয়ার পর এলাকার বিশাল সংখ্যক বিজেপি কর্মী-সমর্থক বিধায়কের গাড়ি ঘিরে স্লোগান দিতে থাকেন। গাড়ির সান রুফে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে তাঁদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন বিধায়ক। এর সঙ্গে চলে বাজি ফাটানো।
বিখ্যাত মাইসোর স্যান্ডাল সাবানের কথা আমরা প্রায় সবাই জানি। এই সাবান যারা তৈরি করে রাজ্য মালিকানাধীন সেই কর্ণাটক সোপস অ্যান্ড ডিটারজেন্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান তথা কর্ণাটকের দেবনগরী জেলার চান্নাগিরির বিধায়ক মাড়াল বিরুপক্ষপ্পা। তাঁর ছেলে প্রশান্ত বেঙ্গালুরু ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড সুয়ারেজ বোর্ডের চিফ অ্যাকাউন্টেন্ট।
দিনকয়েক আগে প্রশান্তকে KSDL অফিসে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরেন কর্ণাটকের লোকায়ুক্ত আধিকারিকরা। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এর পাশাপাশি ওই অফিস থেকে তিন ব্যাগ ভর্তি প্রায় ১.৭৫ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়।
কর্ণাটক অ্য়াডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসেস-এর ২০০৮ ব্যাচের অফিসার প্রশান্ত। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে ন্যায়পালের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। প্রশান্ত সাবান ও অন্যান্য ডিটারজেন্ট তৈরির জন্য কাঁচামালের সামগ্রীর একটি ডিলের জন্য ঠিকাদারের কাছ থেকে ৮১ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে।
প্রশান্ত তাঁর বাবা মাড়াল বিরুপক্ষপ্পার হয়ে ঘুষ নিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। ঘুষ দিয়ে নাকি সাবান ও অন্যান্য ডিটারজেন্ট তৈরির জন্য কাঁচামাল সামগ্রীর ডিলের বরাত নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছিল। ২ মার্চ তদন্তকারীরা তাঁদের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করার পরের দিন কর্ণাটক সোপস অ্যান্ড ডিটারজেন্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন মাড়াল বিরুপক্ষপ্পা। এরপরই কার্যত 'নিখোঁজ' হয়ে যান তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নিখোঁজ পোস্টার টাঙায় যুব কংগ্রেস।
তবে, এই ঘটনায় দলের মুখ পুড়লেও, বিরোধী কংগ্রেসকে নিশানা করতে ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোমাই। তিনি বলেন, "আমি যেটা বলতে পারি তা হল, এরাজ্যে লোকায়ুক্ত পুনরায় শুরু করার কারণ, রাজ্য থেকে দুর্নীতি হটানো। লোকায়ুক্ত-ছাড়াই কংগ্রেস আমলে এরকম অনেক ঘটনা পাওয়া গেছে, যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। "