চেন্নাই : নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা বাসের। মৃত্যু হল এক পথচারীর। ব্যস্ত চেন্নাইয়ের রাস্তায় এই ঘটনা ঘটে। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, রবিবার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। গাড়ি চালানোর সময় আচমকা হার্ট অ্যাটাক হয় বাস চালকের। তার জেরেই এই দুর্ঘটনা। যদিও রিপোর্ট অনুসারে, সেই সময় বাসে কোনও যাত্রী ছিল না। দুর্ঘটনাস্থলেই পথচারী ও বাস চালকের মৃত্যু হয়। 

খবর অনুযায়ী, ৭০সি রুটের বাস নিয়ে যাচ্ছিলেন মেট্রোপলিটন ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের ওই বাস চালক। কোয়েম্বেডু থেকে তাম্বারামের মধ্যে চলাচল করে বাসটি। রবিবার সকাল ৬টা নাগাদ, বেদাপালানি ডিপো থেকে সিএমবিটি ডিপোর উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল বাসটি। একটি হোটেল চত্বর পেরনোর সময় স্টিয়ারিং হুইলে মূর্ছা যান বাস চালক। বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে এক পথচারীকে ধাক্কা মারে। এরপর রাস্তার ধারে থাকা পরপর কয়েকটি গাড়িতে ধাক্কা মারে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে বাসটির দিকে ছুটে যান। জানালা ভেঙে ভেতর থেকে বাস চালককে বের করেন। অন্যান্য অনেকে পথচারীকে সাহায্য করেন। দুই জনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। রিপোর্ট অনুসারে, বাস চালক বুকে অস্বস্তির কথা বলেছিলেন। কিন্তু, গন্তব্যে গাড়িটি নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নিজেই। উভয়েরই মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।   

এ রাজ্যে দুর্ঘটনা !

গত মাসে দিঘায় জগন্নাথ দেবের দর্শনে যাওয়ার মুখেই অঘটন ঘটেছিল। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাইভেট কার ! আহত হন ৬ জন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁতনের সোনাকনিয়া এলাকায় ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে উল্টে যায় প্রাইভেট কার। জানা যায়, পুরুলিয়া থেকে ১৩ জন যাত্রী নিয়ে প্রাইভেট কারটি দিঘা জগন্নাথ দেবের দর্শনের জন্য যাচ্ছিলেন। আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জাতীয় সড়ক থেকে নীচে তিন পাল্টি খেয়ে উল্টে যায়। পাঁচজন জখম হন। একজনের হাত ভাঙে। ঘটনাস্থলে দাঁতন থানার পুলিশ এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। গাড়ির ভেতরে থাকা আহত এক যাত্রী বলেন, 'পুরুলিয়া থেকে দিঘা জগন্নাথ দেবের দর্শন করতে যাচ্ছিলাম। আচমকাই জাতীয় সড়কে পাল্টি খেয়ে যায়। গাড়ির চালকের ঘুম পেয়ে যাওয়ার কারণেই এই দুর্ঘটনা হয়েছে। সারা রত্রি ধরে গাড়ি চালানোর কারণে এই দুর্ঘটনা। ছোট বাচ্চা-সহ ১৩ জন গাড়ির মধ্যে ছিল', বলে জানান তিনি।