নয়াদিল্লি: কংগ্রেস সাহস থাকলে প্রতিটি পাকিস্তানি নাগরিককে ভারতের নাগরিকত্ব দিক, এই কটাক্ষের জন্য নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করে পাল্টা ট্যুইট করলেন শীর্ষ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। তাতে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লিখেছেন, যারা পাকিস্তানের নাগরিক হয়েই গিয়েছেন, কেন আমরা তাঁদের নাগরিকত্ব দেব? বিরোধীদের এধরনের চ্যালেঞ্জ করার মানে কী? আরেকটি ট্যুইটে তিনি বলেছেন, এটা সুখের কথা যে, তরুণ প্রজন্ম উদার, ধর্মনিরপেক্ষ, সহনশীল, মানবতায় বিশ্বাসী। সরকার কি এই মূল্যবোধগুলিকেই চ্যালেঞ্জ করছে?




গতকালই প্রধানমন্ত্রী ঝাড়খন্ডে নির্বাচনী জনসভায় কংগ্রেস, তার সঙ্গীসাথীরা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ইস্যুতে ‘গেরিলা’ রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ তুলে তাদের চ্যালেঞ্জ করেন, সাহস থাকলে তারা জানাক, পাকিস্তানিদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতে রাজি কিনা।
তিনি বলেন, ওরা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সম্পর্কে মিথ্যা ছড়াচ্ছে, মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। বিভ্রান্তি, মিথ্যাচারের পরিবেশ সৃষ্টি করতে কংগ্রেস তার পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করেছে। হিংসায় উসকানি দিচ্ছে। এটা স্পষ্ট যে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে কোনও ক্ষতি হবে না হিন্দু, মুসলিম, শিখ, জৈন, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধ সমেত ভারতীয় নাগরিকদের কারও। তবু কংগ্রেস ও তার বন্ধুরা আইনটি সম্পর্কে মিথ্যা, গুজব ছড়াচ্ছে। ওদের চ্যালেঞ্জ করছি, বুকের পাটা থাকলে সামনাসামনি বলুক, প্রতিটি পাকিস্তানি নাগরিককে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেবে। এছাড়া, জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখে ৩৭০ অনুচ্ছেদ ফিরিয়ে আনবে, এটাও ঘোষণা করুক।
এদিকে রায়পুরে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, ২০১৯ ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি-জোট সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন, এনআরসি কার্যকর হলে তিনিই হবেন প্রথম লোক, যিনি তাতে সই করবেন না। পাশাপাশি বাঘেল জানিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় মহাত্মা গাঁধী যেমন ‘ইংরেজে’র বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তেমনই তিনিও এখানকার ‘কালা ইংরেজদের’ বিরোধিতায় নামবেন।