নয়াদিল্লি : আগামীকাল, ১০ নভেম্বর অবসর নিচ্ছেন দেশের প্রধান বিচারপতি । বিচার ব্যবস্থার সর্বোচ্চ পদে দুই বছর দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। এই সময়কালের মধ্যে একাধিক যুগান্তকারী রায় ঘোষণা করেছেন। এরপর থামার সময়। বিদায়বেলায় কিছুটা তাই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন তাঁর বিদায় সংবর্ধনার ব্যবস্থার করে। সেখানে বক্তব্য রাখার সময় একাধিক বিষয় তুলে ধারার পাশাপাশি দেশের শীর্ষ আদালতের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা তুলে ধরেন তিনি।


দেশের প্রধান বিচারপতি তাঁর বিদায়ী ভাষণে বলেন, "আপনারা সকলেই জানেন আমাকে কী ভীষণ ট্রোল করা হয়েছে। সম্ভবত বিচারব্যবস্থায় সবথেকে ট্রোল হওয়া বিচারপতিদের মধ্যে আমি অন্যতম। হালকা ছলে বলতে হলে, সোমবার থেকে (অবসরের শুরু) কী হবে। কারণ, আমাকে যাঁরা ট্রোল করতেন তাঁরা বেকার হয়ে পড়বেন !" উর্দু কবি বশির বদরের কবিতার লাইন আওড়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, "বিরোধীকারীরা আমার ব্যক্তিত্বকে বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমার শত্রুদের উপর আমার প্রচুর শ্রদ্ধা আছে।"


সাংবিধানিক বিচার বিভাগে নিয়োগের সুপারিশে কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের সঙ্গে যে তাঁর কখনো মতের অমিল হয়নি, সেকথা বিদায়লগ্নে তুলে ধরেন চন্দ্রচূড়। প্রধান বিচারপতি বলেন, "আমরা যেভাবে কাজ করেছি, তাতে আমি কলেজিয়ামের কাছে চিরঋণী থাকব। আমরা কলেজিয়ামে বসে কঠিন বাছাই ও সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কলেজিয়ামে আমাদের কখনোই মতের অমিল হয়নি। সবক'টি বৈঠকই মজা করে, হাসি মুখে ও স্ন্যাকস সহযোগে শেষ হয়েছে। আমরা কখনো এই বিষয়টি থেকে চ্যুত হইনি যে, আমরা ব্যক্তিগত এজেন্ডা নিয়ে এখানে আসিনি। আমরা এখানে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ রক্ষা করতে এসেছি।" 


তিনি আরও বলেন, "যখন আমাদের স্মৃতি আমাদের স্বপ্নকে ছাড়িয়ে যায়, তখন আমরা প্রবীণ হয়ে উঠি। আশা করছি, এখন থেকে জীবনের ছোট ছোট জিনিসগুলোকে নিয়ে স্বপ্ন দেখব। আমি এই বিশ্বাস নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের এই প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যাচ্ছি যে, এই আদালত বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার মতো কঠিন, স্থিতিশীল এবং পণ্ডিত মানুষের হাতে থাকবে।"


আরও পড়ুন ; ২ বছরের যাত্রাপথের ইতি পড়ছে ১০ নভেম্বর, এই সময়ে কী কী যুগান্তকারী রায় দিলেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ?


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে