কলকাতা: কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর। শয্যা সংখ্যা বাড়াতে আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর। চিঠিতে ভ্যাকসিনের জোগান বাড়াতেও আবেদন মমতার। পশ্চিমবঙ্গে ১০ হাজার ডোজ রেমডিসিভির লাগবে প্রতিদিন। চিঠিতে আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর।
এদিকে আজই রাজ্যে এল কেন্দ্রের পাঠানো ১ লক্ষ কোভ্যাকসিন। আজ দুপুরের পর এসে পৌঁছবে আরও ৪ লক্ষ কোভিশিল্ড। কেন্দ্রের তরফে রাজ্যে এই পাঁচ লক্ষ ডোজ পাঠানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি, রাজ্য সরকারও কোভ্যাকসিন এবং কোভিশিল্ড এই দু’ রকম ভ্যাকসিনের বরাত দিয়েছে। তবে তা এখনও রাজ্যে এসে পৌঁছয়নি।
এদিন তৃতীয়বার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর নবান্নে কোভিড নিয়ে আলোচনায় বসেন তিনি। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী জানান, মোদিকে চিঠি লিখেছি। আইসিসিঅইউ-র বেড বেড়েছে। ২৭ হাজার আছে বেড আছে। এটা ৩০ হাজার হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "প্রতিদিন ২ লক্ষ ভ্যাকসিনেশন হচ্ছে।" দ্বিতীয় ডোজকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে বলেন, 'ডোজের সংখ্যা নগণ্য। তাঁর অভিযোগ, আমাদের অক্সিজেন নিয়ে চলে যাচ্ছে ইউপি, অন্যান্য রাজ্য। আমাদের অক্সিজেন আমাদের থাকা উচিত।" তিনি বলেন, "কারোর মৃত্যু হলে কোভিড হয়েছে কি না চিহ্নিত করতে সময় লাগছে। ৩ দিন মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। এটা সরকারের দোষ নয়। আরটিপিসিআর টেস্টে ৭২ ঘণ্টা সময় লাগে।" তাই অ্যান্টেজেন টেস্ট করে নেওয়া হবে বলে জানান। সসম্মানে সত্কার করা হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, "কোয়াক ডাক্তারদের গাইডলাইন দেওয়া হবে। কী কী করা উচিত, কী করা উচিত না। তারা প্রথমদিকটা দেখবে।"
রাজ্যে ভ্যাকসিনের আকাল অব্যাহত। সরকারি হাসপাতালে প্রথম ডোজ পাওয়া যাচ্ছে না। বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে ভ্যাকসিনেশন বন্ধ। সঙ্কটের ছবি ধরা পড়ল খাস কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। রীতিমতো নোটিস দিয়ে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত শুধুমাত্র দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। অন্যদিকে, ভ্যাকসিনের সঙ্কটে সমস্যায় পড়েছেন সল্টলেকের বহু বাসিন্দাও। মঙ্গলবার বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে বন্ধ ছিল টিকাকরণ। আজ, বুধবারও ছবিটা একই। তবে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে দ্বিতীয় ডোজকেই।