কলকাতা: দাবানলে (Chile Wildfire)জ্বলছে চিলি। প্রশাসন জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত এই ভয়াল বিপর্যয়ে প্রাণহানি সংখ্যা ৫১। তবে দেশের এ প্রান্ত থেক ও প্রান্ত, যে ভাবে আগুন ছড়াচ্ছে, তাতে তাতে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। দাবানলের তীব্রতা বিচার পরে চিলি-তে আপৎকালীন পরিস্থিতি জারি করা হয়েছে। উপকূলবর্তী শহরগুলি এখনও ঘন ধোঁয়ার মোড়কে ঠাসা। সেখানকার বাসিন্দারা বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। চিলির প্রেসিডেন্ট জানান, বর্তমানে যা হাল তাতে আরও বেশি সংখ্যক সেনা ইউনিট মোতায়েন করার প্রক্রিয়া চলছে। সঙ্গে পর্যাপ্ত রসদও পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।   


যা জানা গেল...
বিভিন্ন এলাকায় সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত কার্ফু জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য জরুরি রসদ যাতে দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যায়, তাই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু তার পরও উপকূলের দিকে একটি রাস্তায় লম্বা যানজট দেখা যায়। ছোট-বড় মিলিয়ে রবিবার সন্ধে পর্যন্ত ৯২টি দাবানলের খবর পাওয়া গিয়েছে চিলি থেকে। দেশের নানা প্রান্তের মোট ৪৩ হাজার হেক্টর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এর মধ্যেই, আশঙ্কা প্রশাসনের। তবে চিলির অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যে অন্তত ৪০ টি দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে দমকল। এখন মূল লড়াই আরও ২৯টি দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে চলছে। (প্রতীকী ছবি)গ্রীষ্মের তীব্র তাপপ্রবাহে জ্বলছে চিলি। রাজধানী সান্তিয়োগাতে টানা ঝলসে যাওয়ার মতো গরম। খটখটে শুকনো আবহাওয়ায় তাপমাত্রা প্রতিদিনই ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গিয়েছে। তার পরই এই দাবানল। বিজ্ঞানীরা অবশ্য জলবায়ু পরিবর্তন ও এল নিনোর প্রভাব নিয়ে আগেই সতর্ক করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, এই গ্রহের গড় উষ্ণতা যে ভাবে বেড়ে চলেছে, তার নেপথ্যে অন্যতম কারণ হল জলবায়ু পরিবর্তন এবং এল নিনোর দাপট। আর তাপমাত্রার বাড়বৃদ্ধি মানেই তাপপ্রবাহের আশঙ্কা, ক্ষেত্রবিশেষে ভয়াল দাবানল। যেমন চলছে চিলিতে। 


অস্ট্রেলিয়ায় তাপপ্রবাহ...
এর আগে, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে এমন পরিস্থিতির সাক্ষী হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তাতে আরও আশঙ্কা বাড়ায় তাপপ্রবাহের আশঙ্কা। ফলে পূর্বাভাস ছিল, আরও খারাপ হতে পারে দাবানল পরিস্থিতি। বাধ্য হয়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল নিউ সাউথ ওয়েলস প্রশাসন। সেবার, আগুনে নিউ সাউথ ওয়েলসের পূর্ব সমুদ্রতটের বেশিরভাগটাই পুড়ে ছাই হয়ে হয়। প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের নামে অভিযোগ ওঠে, আগুন থামাতে ঢিলেমি করছেন তিনি। মরিসন অবশ্। জানান, দাবানল সামলে উঠতে ন্যাশনাল রিকভারি ফান্ডে জমা দেওয়া হবে ২ বিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলার, এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জাতিগুলিকে সাহায্য করা হবে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার দাবানল আর জঙ্গল ও তার আশপাশেই সীমাবদ্ধ নেই, কালো ধোঁয়ায় মুড়ে যায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মেলবোর্ন। রাজধানী ক্যানবেরারও এক অবস্থা ছিল।


আরও পড়ুন:ISI-র হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগ, মস্কোয় ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীকে গ্রেফতার উত্তরপ্রদেশ ATS-র