কমলকৃষ্ণ দে, বর্ধমান : ভারত সরকার লেখা নীলবাতি গাড়ির ব্যবহার ও তার পাশাপাশি রেলের কর্মী-আধিকারিকের ভুয়ো পরিচয় দেওয়ার অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করা হল। শুধু তা-ই নয়, অভিযুক্তদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তদেক গ্রেফতার করে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম সন্দীপ বিশ্বাস, শুভম রায়, কবিরুল আলি ও আকাশ ধর। এদের বাড়ি বারাসাত ও মধ্যমগ্রাম এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে , শনিবার রাতে এঁরা নীলবাতি লাগানো গাড়ি করে কলকাতার দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় ১৯ নং জাতীয় সড়কের পালসিট এলাকায় স্থানীয়দের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। পরে পুলিশ এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সন্দীপ বিশ্বাস নিজেকে আইআরটিএস অফিসার পরিচয় দেন। একই সঙ্গে নিজেকে আরআরবি (RRB) অর্থাৎ রেলওয়ে রিক্রুমেন্ট বোর্ডের সদস্য হিসাবেও দাবি করেন। শুধু তা-ই নয়, তাঁর সঙ্গে থাকা শুভম রায় নিজেকে আরপিএফ কর্মী পরিচয় দেন। তিনি আরপিএফ কর্মীর পোশাকও পরেছিলেন। এছাড়াও তাঁদের সঙ্গে থাকা কবিরুল আলি ও আকাশ ধর নিজেদের রেলের গ্রুপ ডি কর্মী হিসাবে পরিচয় দেন। পরে খোঁজখবর নিয়ে পুলিশ জানতে পারে, এঁরা রেলের সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত নন। তাঁদের দেওয়া নথিও জাল ছিল। এরপরই পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে এবং তল্লাশিতে শুভম রায়ের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। ভারত সরকার লেখা নীলবাতি গাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত বছর নভেম্বর মাসে বর্ধমানে ৪০ লাখ টাকা সহ পাকড়াও হন চালকল মালিক। বর্ধমানের তেলিপুকুরে গাড়ির ডিকি থেকে উদ্ধার হয় ৪০ লক্ষ টাকা। ধৃতের নাম অচিন্ত্যকুমার যশ। বর্ধমান-আরামবাগ রোডে নাকা তল্লাশির সময় তাকে আটক করা হয়, পরে করা হয় গ্রেফতার। ব্যবসার টাকা বলে দাবি জানান ধৃত চালকল ব্যবসায়ী। যদিও তার সপক্ষে কোনও নথি দেখাতে পারেননি তিনি, দাবি পুলিশ সূত্রের।
তখনও রেশ কাটেনি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের পর টিভির পর্দায় কোটি কোটি নোট গোনার দৃশ্য দেখে কার্যতই ঘুম ছুটেছে অনেকেরই। আর বছর পড়তেই কলকাতায় 'যকের ধন' উদ্ধার হয়েছিল। পার্ক স্ট্রিটে গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল নগদ ৫০ লক্ষ টাকা। কলকাতা পুলিশের এসটিএফ (Kolkata Police Special Task Force) ও গুন্ডাদমন শাখার অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছিল ১ কোটি টাকা। প্রথমে উদ্ধার হয়েছিল ৫০ লক্ষ, পরে জানা গিয়েছিল উদ্ধার হওয়া অঙ্কের পরিমাণ ১ কোটি ৩ লক্ষ ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা। গ্রেফতার করা হয়েছিল রাজেশ আগরওয়াল নামে নিউ আলিপুরের এক বাসিন্দা।