নয়াদিল্লি: ইরান বনাম ইজরায়েল সংঘাতে নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছে আমেরিকা। ইরানের পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে তারা। সেই নিয়ে এবার নিন্দায় সরব হল চিন। যেভাবে ইরানের পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা, তা আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা IAEA-র নীতি-নিয়মের পরিপন্থী বলে মন্তব্য করল তারা। আমেরিকার এেই পদক্ষেপ পশ্চিম এশিয়াকে আরও বিপদের দিকে ঠেলে দিল বলে মত চিনের। (US Attack on Iran)
ইরানে যেভাবে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা, তার তীব্র নিন্দা করেছে চিন। দেশের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, ‘ইরানের উপর আমেরিকার এই হামলা, IAEA-র নীতি লঙ্ঘন করে পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে আঘাত হানার তীব্র নিন্দা করছে চিন। আমেরিকার এই পদক্ষেপ রাষ্ট্রপুঞ্জ, আন্তর্জাতিক আইনেরও পরিপন্থী’। (Iran-Israel War)
আমেরিকা পশ্চিম এশিয়াকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে বলে এর আগেও মন্তব্য করে চিন। এদিনও ফের সেই অবস্থানই বজায় রাখে তারা। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পশ্চিম এশিয়ায় উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে আমেরিকা। এই সংঘাতে যারা যুক্ত, বিশেষ করে ইজরায়েলকে চিন একটাই কথা বলতে চায়, যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তে পৌঁছন, নিরীহ নাগরিকদের নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দিন, আলোচনা ও সমঝোতার পথে হাঁটুন’।
চিন জানিয়েছে, তারা ন্যায়ের পক্ষে। পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার পক্ষে তারা। এর জন্য আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতেও প্রস্তুত।
শনিবার ইরানের তিনটি পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে হামলা চালায় আমেরিকা। তাদের দাবি, পরমাণু কেন্দ্রগুলি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও ইরানের দাবি, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অতি সামান্য। দেশের বিদেশ মন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি জানান, শান্তিপূর্ণ পরমাণু প্রকল্পে কাজ করছে ইরান। হামলার অনেক আগেই ওই কেন্দ্রগুলি খালি করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমেরিকা যে পদক্ষেপ করেছে, তার ফল ভয়াবহ হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়া সফরে রওনা দিচ্ছেন আব্বাস। সোমবার মস্কোয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে জরুরি বৈঠক রয়েছে তাঁর।