নয়াদিল্লি: গত হাজার বছরের রেকর্ড ভাঙল। বিভৎস বন্যায় বিপর্যস্ত চিন। গত ৩ দিন বন্যার ভয়ঙ্কর ছবি দেখা গিয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। একাধিক ছবিতে দেখা যাচ্ছে বুক সমান জল।  তাতে বাঁচার চেষ্টা করছেন সাধারণ মানুষ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে শুধু  জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের।


সেন্ট্রাল চিনের হেনান প্রদেশের রাজধানী জেংহাউতে প্লাবিত সাবওয়েতে। অন্ধকার সাবওয়েতে ট্রেনের মধ্যে আটতে পড়েছেন বহু মানুষ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, অন্তত ৫০০ জনকে সাবওয়ে থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আরও যাত্রী আটকে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। দুর্যোগের জেরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বুধবার পিপলস লিবারেশন আর্মিকে মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং। 


প্রশাসনের নির্দেশ মতো ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে প্রায় ৩ হাজার সেনা। সূত্রের খবর, এখনও সাবওয়ে, হোটেল সহ একাধিক বহুতলেও জলবন্দি হয়ে রয়েছেন বহু মানুষ। তাঁদেরও উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণের সেনা বাহিনী স্থানীয় প্রশাসনকেও সহায়তা করবেন। জানা গিয়েছে, শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৬১৭.১ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। সারা বছর গড়ে ৬৪০.৮ মিমি বৃষ্টিপাত হয়।


দেশের এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। যার মধ্যে ১ লক্ষ ৬০ হাজার জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৭ জন নিখোঁজ হয়েছেন। দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। প্রবল বর্ষণ এবং বন্যার জেরে গণপরিবহন পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রবল বৃষ্টির জেরে ইয়োলো নদীর একটি বাঁধ ভেঙে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বাড়তে শুরু করেছে নদীর জলস্তরও। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে মাঠে থাকা ফসল। প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ‘অতি বৃষ্টির জন্যই বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। বিভিন্ন জায়গায় বিপদসীমার উপর নদীর জল বইছে। রেলওয়ের একাংশকেও বন্ধ করা হয়েছে।