নয়াদিল্লি: স্পাইওয়্যার পেগাসাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে বিতর্কের মধ্যে এবার নড়েচড়ে বসল ইজরায়েল সরকার। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, ফোন হ্যাকিংয়ের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে মন্ত্রীদের বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। ইজরায়েলের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের নেতৃত্বে এই দলটিই গোটা বিষয় খতিয়ে দেখে প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটকে রিপোর্ট দেওয়া হবে। একই রিপোর্ট দেওয়া হবে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রককেও। ইজরায়েল সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তাঁদের তরফে বলা হয়েছে, ইজরায়েল সরকারের যে কোনও সিদ্ধান্তকেই তাঁরা স্বাগত জানাচ্ছেন। অন্যদিকে, আগেই এই অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে প্যারিসের আইন বিভাগ। এ নিয়ে বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাকরঁ। ভারতে বিরোধীরা এ নিয়ে তদন্তের দাবি জানালেও, এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি মোদি সরকার।


উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরেই পেগাসাস বিতর্কে উত্তাল গোটা বিশ্ব। ইজরায়েলি সংস্থাকে দিয়ে দেশের বিশ্বে ৫০ হাজারের বেশি ফোন ট্যাপিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল। ১৮০ জন সাংবাদিকের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছিল। তালিকায় ছিলেন মানবাধিকার কর্মীও। হাতিয়ার পেগাসাস স্পাইওয়্যার। রিপোর্ট দিয়েছিল ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ান। জঙ্গী, অপরাধীদের উপর নজরদারিতে ব্যবহৃত হয় পেগাসাস স্পাইওয়্যার। এর ফলে নাগরিকের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছিল বলে দাবি আইনজীবীদের। 


পেগাসাস বিতর্কের আঁচ পৌঁছে গিয়েছিল প্যারিসেও। সেখানেও শুরু হয়েছে তদন্ত। সাংবাদিকদের ফোন হ্যাকিংয়ের অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে মরক্কো থেকে ফোন হ্যাক করা হচ্ছে এমনই অভিযোগ এনেছিলেন ২ সাংবাদিক। সেই দুই সাংবাদিকের অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। পেগাসাসের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছেে প্যারিসের প্রসিকিউটরের দফতর। যদিও ফোন হ্যাকিংয়ের অভিযোগ ভিত্তিহীন, এমনই দাবি ছিল মরক্কো সরকারের।


ভারতে বাদল অধিবেশনেও পেগাসাস বিতর্কে উত্তাল হয়েছিল সংসদ।  বিষয়টি নিয়ে এই মুহূর্তে তুঙ্গে রয়েছে রাজনৈতিক তরজা। প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইস্তফার দাবিও তুলেছিলেন বিরোধীরা।