নয়াদিল্লি: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের আবহে তাদের ভূমিকা নিয়েও জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সেই আবহেই ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে কথা বললেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। পহেলাঁওয়র জঙ্গি হামলা থেকে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা উঠে এল তাঁদের আলোচনায়। (India-Pakistan Conflict)
ডোভালের সঙ্গে কী কথা হয়েছে, তা নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে চিনের বিদেশমন্ত্রক। তাতে বলা হয়েছে, ‘ডোভাল জানিয়েছেন, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ভারতীয়দের মৃত্যু হয়েছে, আর তার জেরে সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপ করতে হয় ভারতকে। ভারত যুদ্ধ বেছে নেয়নি এবং যুদ্ধ কারও পক্ষেই সহায় নয়। ভারত এবং পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখতে এবং যত দ্রুত সম্ভব আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে’। (India-China Relations)
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ওয়াং জানিয়েছেন, পহেলগাঁওয় হামলার তীব্র নিন্দা করে চিন। চিন সব ধরনের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক মহলের পরিস্থিতি অত্যন্ত অশান্ত এবং জটিলও। এশিয়া অনেক কষ্টে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা অর্জন করেছে, তাকে যে ধরে রাখতেই হবে। ভারত এবং পাকিস্তান পরস্পরের প্রতিবেশী। পরস্পরকে দূরে সরানো সম্ভব নয়। তারা চিনেরও প্রতিবেশী’।
ভারত যে যুদ্ধ চায় না, তার জন্য প্রশংসাও করেছে চিন। বলা হয়েছে, ‘যুদ্ধ যে চাননি আপনারা, আমরা তার প্রশংসা করছি। আশা করি, ভারত এবং পাকিস্তান সংযত থাকবে, শলাপরামর্শ এবং আলোচনার মাধ্যমে মতভেদ মিটিয়ে নেবেন, এই সংঘাত বাড়তে দেবেন না। ভারত এবং চিনের মধ্যে দীর্ঘকালীন যুদ্ধবিরতি আশা করে চিন। ভারত, পাকিস্তান এবং আন্তর্জাতিক মহলের স্বার্থও জড়িয়ে এর সঙ্গে’।
এর আগে, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশাক দারের সঙ্গেও কথা বলেন ওয়াং। পাকিস্তানের তরফে সেই নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, 'উনি (ওয়াং) জানিয়েছেন, পাকিস্তান এবং চিন পরস্পরের সর্বক্ষণের সঙ্গী। দুই দেশের বন্ধুত্ব অত্যন্ত মজবুত এবং পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং জাতীয় স্বাধীনতা রক্ষায় আগামী দিনেও তাদের পাশে থাকবে চিন'।
শনিবারই ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, তাঁদের মধ্যস্থতাতই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় দুই দেশ। কিন্তু তার পর, তিন ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান। জম্মু ও কাশ্মীর, গুজরাতের কচ্ছের আকাশে তাদের ড্রোন দেখতে পাওয়া যায়। ব্ল্যাকআউট হয়ে যায় সেখানে। নাগরোটায় সেনার শিবিরেও সন্দেহভাজনের ঢুকে পড়ার খবর মিলেছে। সেখানে গুলির লড়াই চলছে বলে খবর।