বেজিং : চিনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল করোনা ভাইরাস। এই অতিমারির প্রকোপ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিশ্ব। এরই মধ্যে চিনে অ্যানথ্রাক্স নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের হদিস পাওয়া গেল। সে দেশের উত্তর হেবেই প্রদেশের চেঙড়ে শহরের ঘটনা। আক্রান্তের গবাধি পশু, ভেঁড়া এবং এইসব প্রাণী থেকে উৎপাদিত জিনিসের সংস্পর্শে থাকার ইতিহাস রয়েছে।
অ্যানথ্রাক্স নিউমোনিয়ার উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর আক্রান্ত ওই ব্যক্তিকে চার দিন আগে অ্যাম্বুলেন্সে করে বেজিংয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। চিকিৎসা চলছে। বেজিং সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনকে উদ্ধৃত করে এই রিপোর্ট করেছে গ্লোবাল টাইমস।
মূলত গবাধি পশু ও ভেঁড়ার মধ্যে অ্যানথ্রাক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। অসুস্থ প্রাণীদের সংস্পর্শে আসার পর বা দূষিত প্রোডাক্ট থেকে সংক্রমিত হয়ে পড়ে মানুষ। তবে ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে চামড়ার মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। এমনটাই জানিয়েছে বেজিং সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন।
সবথেকে বিপজ্জনক সংক্রমণ হচ্ছে অ্যানথ্রাক্স নিউমোনিয়া। ব্যালিসাস অ্যানথ্রাসিসে দূষিত ধূলো কোনও রোগী নিশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করলে সে সংক্রমিত হয়ে পড়তে পারে। মাংসের মতো খাবার দূষিত হয়ে গেলে সেই খাবার থেকে ইনটেস্টিনাল ইনফেকশন হয়। তাতে বমি হওয়া, ডায়েরিয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে সরাসরি অ্যানথ্রাক্স সংক্রমিত হতে পারে। কিন্তু, এটা ফ্লু বা কোভিড ১৯-এর মতো সংক্রামক নয়।
এদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ফের সক্রিয় হয়েছে চিন । দেশের যেসব প্রদেশে নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে, সেখান থেকে কাউকে রাজধানী বেজিংয়ে আসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও তুলনামূলকভাবে বেশি সংক্রমিত এলাকা থেকে আগতদের ঠেকাতেও একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে ট্রেনের টিকিট ক্রয় ও বিমান পরিষেবার মতো বিষয়গুলি। তাতে কতটা সংক্রমণ ঠেকানো যায় সেদিকে তাকিয়ে প্রশাসন।