আটের দশকের গোড়ায় চিনের সেনাবাহিনীর হাতে আসে ডিএফ-৫ ক্ষেপণাস্ত্র। সেই ক্ষেপণাস্ত্রেরই উন্নত সংস্করণ ডিএফ-৫সি। চিনের শ্যানজি প্রদেশের তাইয়ুয়ান স্পেস লঞ্চ সেন্টার থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়। সেটি পৌঁছয় পশ্চিম চিনের একটি মরুভূমিতে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার উপর কড়া নজর রেখেছিলেন। পেন্টাগনের মুখপাত্র কমান্ডার গ্যারি রস বলেছেন, তাঁরা নিয়মিত চিনের সেনাবাহিনীর উপর নজরদারি চালান। এতদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা ছিল, চিনের অস্ত্রাগারে ২৫০টি ওয়ারহেড আছে। কিন্তু এখন মনে করা হচ্ছে, ওয়ারহেডের সংখ্যা অনেক বেশি।
চিনের সামরিক বিশেষজ্ঞদের অবশ্য দাবি, ট্রাম্পের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার সঙ্গে এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কোনও সম্পর্ক নেই। এই পরীক্ষার জন্য সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ স্তর থেকে অনুমতি নিতে হয়। অনুমতি এবং ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এক বছর সময় লাগে। চিনের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার সমৃদ্ধ করার জন্যই এই পরীক্ষা করা হয়েছে।