নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস সংক্রমণ পর্ব ও ভারত, চিনের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার আবহে ভারতে বসবাসকারী চিনা নাগরিকদের দেশে ফেরাচ্ছে বেজিং। নয়াদিল্লির চিনা দূতাবাসের ওয়েবসাইটে নোটিস জারি করে ভারত থেকে নিজেদের নাগরিকদের দেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। নোটিসে বলা হয়েছে, ভারতে থাকা চিনা পড়ুয়া, পর্যটক, ব্যবসায়ীদের বিশেষ বিমানে চিনে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। ভারতে যোগব্যায়াম শিখতে বা বৌদ্ধ ধর্মের সঙ্গে যুক্ত স্থানগুলিতে পর্যটন সূত্রে আসা চিনা নাগরিকদেরও ফেরানোর কথা ভাবা হচ্ছে। যদিও তাদের সংখ্যাটা স্পষ্ট নয়।
২৭ মে সকালের মধ্যে দেশে ফিরতে আগ্রহী ভারতে থাকা চিনা নাগরিকদের নাম নথিভুক্ত করতে বলা হয়েছে দূতাবাসের নোটিসে। তবে কবে বা কখন থেকে বিশেষ ফ্লাইটগুলি ছাড়বে, তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি নোটিসে।
চিনা দূতাবাসের নোটিসটি দেওয়া হয়েছে মান্দারিন ভাষায়। তাতে বলা হয়েছে, যারা দেশে ফেরার ফ্লাইট ধরতে চান,তাদের নিজেদের পকেট থেকে ভাড়া গুনতে হবে, দেশে ফেরার পর ১৪দিন কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে। চিনা বিদেশমন্ত্রক ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের সম্মিলিত ব্যবস্থাপনায় ভারতে চিনা দূতাবাস ও কনস্যুলেট ভারতে থাকা পড়ুয়া, পর্যটক ও সাময়িক কাজে আসা ব্যবসায়ীদের সাহায্য করবে যদি তারা এদেশে সমস্যায় পড়েন এবং দেশে ফেরার জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত বিমান ধরার তাড়া থাকে।
যাদের কোভিড-১৯ ধরা পড়েছে বা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ রয়েছে বা যাদের ১৪ দিন ধরে জ্বর বা কাশির মতো লক্ষণ আছে, তাঁরা বিমান ধরতে পারবেন না বলে নোটিসে জানানো হয়েছে। কোভিড ১৯ সংক্রমিতদের ঘনিষ্ঠ লোকজন বা যাদের দেহের তাপমাত্রা ৩৭.৩ সেন্টিগ্রেডের ওপর, তাদের বিমানে উঠতে দেওয়া হবে না।
দেশে ফেরার আবেদনকারীদের উদ্দেশ্যে আরও বলা হয়েছে, রোগের
ইতিহাস লুকোনা যাবে না। কোনও যাত্রী রোগের কথা, কাদের সংস্পর্শে এসেছেন, গোপন করে গেলে বা কোয়ারান্টিনে থাকাকালে অ্যান্টিপাইরেটিক্স বা অন্যান্য নিষিদ্ধ ওষুধ খেয়েছেন প্রমাণ মিললে সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন করে তোলায় দোষী হবেন।
প্রসঙ্গত, নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের আঁতুড়ঘর চিনের হুবেই প্রদেশ ও তার রাজধানী উহান থেকে যেসব দেশ ৭০০ র বেশি নিজেদের নাগরিক ও বিদেশি নাগরিকদের উদ্ধার করেছে, তাদের মধ্যে ছিল ভারতও।