বেজিং: ফেব্রুয়ারির শেষে জোড়া বিপর্যয় চিনে। একদিকে ভারী তুষারপাত অব্যাহত, তার দোসর হয়ে উঠেছে প্রচণ্ড ধূলাঝড়। দিনের বেলাতেই অন্ধকার নেমে এসেছে সর্বত্র। একধাক্কায় দৃশ্যমানতা কমে ১০০ মিটারেরও নিচে নেমে এসেছে। ধুলো-বালিতে ঢেকে গিয়েছে চারিদিক। তার নিচে আবার বরফের পুরু স্তর। বাড়ি থেকে বেরনোর জো নেই একেবারেই। যাঁরা বেরিয়েছিলেন, আটকে পড়েছেন। (China Sandstorm)
শনিবার থেকে পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে চিনে। উত্তর-পশ্চিমের শিনজিয়াং প্রদেশে ঘূর্ণির আকারে আছড়ে পড়ে ধূলাঝড়। নিমেষে চারপাশ কমলা বর্ণ ধারণ করে। দৃশ্যমানতা একধাক্কায় কমে ১০০-র নিচে চলে আসে. কর্তৃপক্ষের তরফে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। নাগরিকদের বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয় মাইকিংয়ে। রাস্তায় আটকে পড়েছিলেন যাঁরা, তাঁদের উদ্ধারের প্রচেষ্টা চালানো হয়। (China Weather Updates)
স্বতন্ত্র উইঘুর প্রদেশের রুশিয়াং কাউন্টিতেও একই পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে। রাস্তাঘাট সব বন্ধ করে দেওয়া হয় জরুরি ভিত্তিতে। তুরপাংয়ে রাস্তায় আটকে পড়াদের উদ্ধার করতে নামানো হয় প্রশিক্ষিত উদ্ধারকারী দল। শাংহাই পর্যন্ত ঢেকে যায় ধুলোর আস্তরণে। শিউকুয়াং শহরের দোকানবাজার, রাস্তাঘাট খালি করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: Israel Hamas War:গাজার যুদ্ধের সঙ্গে 'হলোকস্টের' তুলনা ব্রাজিল প্রেসিডেন্টের, সমালোচনায় মুখর ইজরায়েল
এর পাশাপাশি, বিপর্যয় ডেকে আনে তুষারপাত। ৬৪ বছরে এই প্রথম শিনজিয়াংয়ের তাপমাত্রা মাইনাস ৫২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গিয়েছে। শেষ বার ১৯৬০ সালের ২১ জানুয়ারি তাপমাত্রা নেমেছিল মাইনাস ৫১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। চলছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। এই মুহূর্তে বর্ষবরণ চলছে চিনে। কিন্তু অন্যান্য বছর এক সপ্তাহব্যাপী উদযাপন হলেও, এবার বাদ সেধেছে আবহাওয়া। রাস্তাঘাট তো বন্ধই, এমনকি ট্রেন লাইনও বন্ধ হওয়ার জোগাড়।
চিনের আবহাওয়া দফতর, China Meteorogological Administration (CMA) ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করেছে। তীব্র শৈত্যপ্রবাহের পাশাপাশি ধূলাঝড় নিয়ে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে তারা। ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চলবে বলেজানিয়েছে তারা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র শিনজিয়াংয়েই ৮৫৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উদ্ধারকার্যে নেমেছে ৪৭টি যান এবং ৮৬ উদ্ধারকারী। রাস্তার ৪৩টি সেকশন এবং ৬২৩টি টোল প্লাজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।