নিউ দিল্লি : ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পাকড়াও চিনের এক নাগরিক। পরে ৩৫ বছরের ওই যুবককে গ্রেফতার করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী(BSF)। সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখতে পেয়ে মালদার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে তাকে ধরা হয়। তার কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ ও পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে আধাসামরিক বাহিনী।
চিনের ওই নাগরিকের নাম এবং অন্যান্য কোনও তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। কারণ, ঘটনার সংবেদনশীলতার দিকে নজর রেখে এব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিএসএফ-এর আধিকারিকরা। যদিও জিজ্ঞাসাবাদে কোনও তথ্য উঠে এলে শীঘ্রই তা জানানো হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।
কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীর অন্যতম বিএসএস। বাহিনীর একটি সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, চিনের ওই নাগরিককে ধরা হয়েছে, কারণ সীমান্তবর্তী এলাকায় তার কিছু সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়। যা দেশের নিরাপত্তার বিরুদ্ধে যেতে পারে।
এদিকে চিনের ওই নাগরিককে গ্রেফতারের পর পরই বিষযটি স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে জানানো হয়। এর পরই ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেখানে পৌঁছায় সংশ্লিষ্ট বাহিনী ও ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর একটি নিবেদিত দল। এমনটাই জানা গিয়েছে সরকারি সূত্রে।
প্রসঙ্গত, সীমান্ত ইস্যু নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ভারত-চিন সম্পর্কে চাপানউতোর চলছে। গত বছর মে মাস থেকে পূর্ব লাদাখের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনা মোতায়েন নিয়ে ভারত-চিন সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। এরপর সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে একাধিক বার আলোচনা হয় উভয়পক্ষের মধ্যে। শেষমেশ সমঝোতায় পৌঁছায় দুই পক্ষ। ফেব্রুয়ারি মাসে প্যাংগং হ্রদের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্ত থেকে সেনা ও অস্ত্রশস্ত্র সরিয়ে নেয় ভারত-চিন। বাকি অংশের জটিলতা মেটানোর জন্য উভয়পক্ষ এখনও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে সম্প্রতি লাদাখে চিনা সেনার কার্যকলাপের উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানান ভারতীয় সেনা প্রধান এম এম নারাভানে। তবে, প্যাংগং হ্রদ এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর এখনও পর্যন্ত চিনের তরফে "সীমা" লঙ্ঘন করা হয়নি বলেও সেদিন জানান তিনি। ভারতীয় সেনা প্রধান আশা প্রকাশ করে বলেন, অন্যান্য এলাকাতেও সমস্যার সমাধানে দুই পক্ষ এগিয়ে আসবে।