নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস চিকিৎসায় সুখবর। মারণ কোভিড-১৯ সংক্রমণ সৃষ্টিকারী সার্স-সিওভি২ ভাইরাসের মোকাবিলায় এক নতুন ওষুধ তৈরির দাবি করেছে একদল চিনা গবেষক। বিজ্ঞানীদের দাবি, ওই ওষুধের ফলে, অতিমারী রোধ করা সম্ভব।
সংবাদসংস্থা সূত্রে দাবি, চিনের ঐতিহ্যবাহী পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবি, ওই নতুন ওষুধ না কেবল সংক্রমিত মানুষদের আরোগ্যলাভের সময় কমিয়ে দেবে তাই নয়। এমনকী, মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে স্বল্পসময়ের জন্য প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়তেও সক্ষম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ বেজিং অ্যাডভান্সড ইনোভেশন সেন্টার ফর জেনোমিক্স-এর ডিরেক্টর সানি শি জানান, পশুদের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে ওই ওষুধের আশাতীত ফল লাভ হয়েছে। তিনি বলেন, সংক্রমিত ইঁদুরের শরীরে অ্যান্টিবডি প্রবেশ করানোর পাঁচদিনের মধ্যেই ভাইরাল লোডের পরিমাণ ২৫০০ ভাগ কমে যায়।
গবেষক শি-র দাবি, আমাদের শরীরে যখন কোনও জীবাণু (অ্যান্টিজেন) প্রবেশ করে, তখন শরীরের নিজস্ব রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতার মাধ্যমে সৃষ্টি অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। যা ওই অ্যান্টিজেনের মোকাবিলা করে। শি-র দাবি, এই ওষুধ শরীরের নিজস্ব অ্যান্টিবডিকে (নিউট্রিলাইজড অ্যান্টিবডি) আরও শক্তিশালী করে ভাইরাস মোকাবিলার কাজে ব্যবহার করে। যার ফলে, একইসঙ্গে রোগ নিরাময় ও সুস্থ হওয়ার সময় অনেকটাই কমে যায়।
তিনি জানান, হিউম্যান ট্রায়াল বা মানবদেহে পরীক্ষা শীঘ্রই শুরু হবে। তা সফল হলে, বছরের শেষ নাগাদ ওই ওষুধ ব্যবহারের জন্য তৈরি হয়ে যাবে। তিনি যোগ করেন, চিনে সংক্রমণের মাত্রা কমে যাওয়ার ফলে, এখন অস্ট্রেলিয়ায় এই ওষুধের হিউম্যান টেস্টিং শুরু হবে। শি বলেন, আশা করি এই নিউট্রিলাইজড অ্যান্টিবডি-নির্ভর এই ওষুধ অতিমারী রোধে বিশ্বের অন্যতম সেরা দাবিদার হয়ে উঠবে।
প্রসঙ্গত, অ্যান্টিবডির মাধ্যমে চিকিৎসা নতুন পন্থা নয়। এর আগেও এইচআইভি, ইবোলা ও মার্স-এর বিরুদ্ধে এই পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে। ওষুধর পাশাপাশি, চিন এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে পাঁচটি ভ্যাকসিন তৈরির কাজও করছে। যদিও, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) দাবি করেছে, ভ্যাকসিন তৈরি হতে এখনও এক থেকে দেড় বছরের ধাক্কা।