ঢাকা: আগামী সোমবার বাংলাদেশে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের আবেদনের শুনানি। বাংলাদেশ হাইকোর্টে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের আবেদনের শুনানি হবে। গত একমাসেরও বেশি সময় ধরে বিনা বিচারে জেলবন্দি রয়েছেন তিনি। এর আগে, জামিনের আবেদনের শুনানি বার বার খারিজ হয়ে যায়। নতুন বছরের শুরুতেই খারিজ হয়ে গিয়েছিল। এবার শুনানি হতে চলেছে। (Chinmoy Krishna Das)


এর আগে, চট্টগ্রামের নগর দায়রা আদালতে চিন্ময়ের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। সেই সময় পুলিশ ও প্রশাসন জানিয়েছিল, দেশের জাতীয় পতাকার উপরে গেরুয়া পতাকা উড়িয়েছেন চিন্ময়। তাঁকে ছাড়লে আরও লোক জড়ো করতে পারেন। এতে পরিবেশ নষ্ট হতে পারে। পাশাপাশি, জিজ্ঞাসাবাদে উস্কানিমূলক বক্তৃতা করার কথাও চিন্ময় স্বীকার করেছেন বলেও দাবি করে পুলিশ। রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের হয় তাঁর বিরুদ্ধে। (Bangladesh News)


এর পাল্টা চিন্ময়ের আইনজীবীদের দাবি ছিল, চিন্ময় একজন দেশপ্রেমী। সবসময় দেশকে অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছেন। তিনি সন্ন্যাসী। এসবের সঙ্গে যুক্ত নন। এর পরও চিন্ময়ের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এর পর হাইকোর্টে আবেদন করেন চিন্ময়ের আইনজীবীরা। সোমবার সেই মামলার শুনানি হবে।


ভারতে রাজ্য বিশেষে আলাদা আলাদা হাইকোর্ট রয়েছে। বাংলাদেশের বিচারপ্রক্রিয়া একটু আলাদা। সেখানে সুপ্রিম কোর্টের অধীনে রয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি, আপিলের আর একটি ডিভিশন রয়েছে। সেখানকার হাইকোর্টেই সোমবার চিন্ময়ের জামিনের আবেদনের শুনানি হবে। 


অন্য দিকে, চিন্ময়কে আদালতে তোলার দিন এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়। ওই আইনজীবীর ভাইয়ের দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে বেশ কিছু সংখ্যালঘু বা হিন্দু আইনজীবীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। তাঁরা আজ জামিন পেয়েছেন চট্টগ্রাম আদালতে। চট্টগ্রামে আইনজীবী, পুলিশ এবং বিচারপ্রার্থীদের উপর হামলা, ভাঙচুরের পৃথক দু'টি মামলায় তাঁরা জামিন পেয়েছেন বলে খবর। সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময়ের আইনজীবী শুভাশিস শর্মাও জামিন পেয়েছেন। গত ২৫ নভেম্বর চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে ইউনূস সরকার। সেই থেকে জেলবন্দি রয়েছেন সন্ন্যাসী। তাঁর আইনজীবীদের উপর হামলা, হুমকি, হুঁশিয়ারি, আইনি জটে বারবার পিছিয়েছে চিন্ময়ের জামিনের আবেদনের শুনানি।


গত ২ জানুয়ারিও আদালতে জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায় সন্ন্য়াসী চিন্ময়ের। এর পরই হাইকোর্টে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলে তাঁর আইনজীবী। কিন্তু হাউকোর্টে যেতেও বাধা আসে বলে তোলেন ইসকন কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস। তিনি জানান, সন্ন্য়াসীর জামিনের আবেদন নাকচের পরে আদালতের তরফে যে সার্টিফায়েড কপি দেওয়ার কথা, তা দিতে দেরি হয়। ফলে হাইকোর্টের দারস্থ হতে দেরি হয় চিন্ময়ের আইনজীবীদের।