যদিও একইসঙ্গে যে কয়েকটি প্রতিবেশী দেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আবেদন করেছে তারা। বলেছে, পাকিস্তানের মতো অন্য প্রতিবেশী দেশগুলিকে উচিত শিক্ষা দিন প্রধানমন্ত্রী মোদী যেখানে হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, পার্সি, জৈনদের মতো সংখ্যালঘুদের অত্যাচারিত হতে হচ্ছে।
সম্প্রতি গেরুয়া পার্টির সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে শিবসেনার। মহারাষ্ট্রে এনসিপি, কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়া শিবসেনা বলেছে, প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই কিছু কিছু জিনিস 'সম্ভব' করে দেখিয়েছেন। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও বালাকোট বিমান হামলার প্রতিই ইঙ্গিত করে বলেছে, এবার তিনি একই ধরনের অ্যাডভেঞ্চারমুখী পদক্ষেপের মাধ্যমে সুনিশ্চিত করুন, এই সম্প্রদায়গুলিকে নিজ নিজ দেশ ছাড়তে হবে না। এতে দেশের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষাও জোরদার হবে। পাশাপাশি বিজেপির সুরেই ভারতে বসবাসকারী বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর দাবিও করেছে শিবসেনা। বলেছে, এমন বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের সঠিক সংখ্যা অবশ্যই জানা উচিত। সংখ্যাটা কয়েক লক্ষ হলে ভারতে কোথায় তাদের থাকতে দেওয়া হবে? ইসলামি দেশগুলিতে সংখ্যালঘু হিন্দুদের সঙ্গে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকের মতো আচরণ করা হয়, তাদের মেয়েদের অপহরণ করে নিগ্রহ, জোর করে তাদের ধর্মও বদল করানো হচ্ছে কখনও কখনও।
শিবসেনা আরও বলেছে, বিহারের মতো রাজ্য ছাড়াও উত্তরপূর্বের বেশিরভাগ রাজ্য নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলের বিরোধিতা করেছে মূলত এজন্য যে, তারা অনুপ্রবেশকারীদের তাদের আঞ্চলিক সংস্কৃতির সামনে বিপদ বলে দেখে। পশ্চিমবঙ্গও এই বিলের বিরোধিতা করছে।
সম্পাদকীয়তে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি উল্লেখ করেও বলা হয়েছে, বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যায় ইতিমধ্যে স্থানীয় পুরসভাগুলি নাগরিক পরিষেবা দিতে গিয়ে চাপে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে গুজরাত, কর্নাটকের মতো রাজ্যগুলিকে এই অনুপ্রবেশকারীদের ঠাঁই দেওয়ায় বড়, মানবিক ভূমিকা পালন করতে হবে।