আগরতলা: ত্রিপুরায় প্রচারসভায় (tripura campaign) এবার চাকরি হারানো শিক্ষকদের প্রসঙ্গ তুলে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারকে (BJP Government) চাঁচাছোলা আক্রমণ শানালেন তৃণমূলনেত্রীর (TMC supremo Mamata Banerjee) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, 'বিজেপি বলেছিল কি বলেনি যে চাকরি হারানো ১০ হাজার শিক্ষককে (teachers to be reinstated) ফিরিয়ে আনবেন? পাঁচ বছর তো হয়ে গেল। আর কবে ফেরাবেন?'এর পরেই সংযোজন, 'আমাকে এইসব শেখাবেন না। আমাদের লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়ের চাকরি হয়েছে (Lakhs Of People Got Jobs In Bengal)।'  


কী বললেন?
বিজেপিকে হুঙ্কার দেওয়ার পাশাপাশি কিছু ভুলও কবুল করে নিয়েছেন মমতা। বলেছেন, 'সে সব ক্ষেত্রে আইন আইনের ব্যবস্থা নেবে।' তবে সেই ইস্যুকে হাতিয়ার করে বিজেপি যাতে মোটেও লাভের গুড় না খেতে পারে, সে জন্য তৃণমূলনেত্রীর প্রশ্ন, 'আপনারা মধ্যপ্রদেশে কী করেছেন? উত্তরপ্রদেশে কী করেছেন?' কথায় কথায় উন্নাও ধর্ষণের প্রসঙ্গও ছুঁয়ে যান তিনি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, 'ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে যাঁর বিরুদ্ধে, তাঁকেও আপনারা মুক্তি দিয়ে দিয়েছেন।' প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে গত বছরের মাঝামাঝি থেকে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ। নিয়োগ দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এখনও সেই দুর্নীতি মামলার রেশ কাটেনি, বরং প্রায় প্রত্যেক দিন একের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য় শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিরোধীদের লাগাতার কটাক্ষের মুখে পড়েছে এ রাজ্যের শাসকদল। তার মধ্যেই ত্রিপুরার প্রচারে নিয়োগ নিয়ে পাল্টা সুর চড়ালেন মুখ্য়মন্ত্রী।   


আর যা বললেন...
'বাংলা ও ত্রিপুরার সংস্কৃতি-ভাষা সব এক। ত্রিপুরাতেও বাংলার মতো সর্ব ধর্ম সমন্বয় চলে', প্রচারসভার গোড়াতেই মনে করিয়ে দিয়েছেন মমতা। এর পর আসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর অত্যাচারের প্রসঙ্গ। মুখ্য়মন্ত্রীর অভিযোগ, 'ত্রিপুরায় অভিষেকের উপর অত্যাচার হয়েছে। অভিষেক-সুস্মিতার নামে গাদাগাদা কেস। নির্বাচন সামনে এলে ডাবল ইঞ্জিন, না হলে কারও দেখা নেই।' ছেড়ে কথা বলেননি বাম ও কংগ্রেস শিবিরকেও। তাঁর কথায়, 'বাংলায় বিজেপি-বাম-কংগ্রেস সব এক। আগের বার সিপিএমের কমরেডরা বিজেপি হয়ে গিয়েছিলেন, এবার তারা আবার সিপিএম।'তবে শুধুই যে আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন, এমন নয়। শান্তি-উন্নয়ন-কর্মসংস্থানের বার্তাও ছিল তাঁর কথায়। বার্তা একটাই, 'ডাবল ইঞ্জিন ভয় দেখালে চুপ করে যেখানে ভোট দেওয়ার দেবেন। ভোটের পর আবার আসব। ডাবল না সিঙ্গল ইঞ্জিন সরকার হয়, দেখব।' 


আরও পড়ুন:আদানি ইস্যুতে আজ সংসদে কাটতে চলেছে অচলাবস্থা