আগরতলা: বিধানসভা ভোটের আগে আজ ত্রিপুরায় (Tripura) রোড শো করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বেলা ১২টায় আগরতলার রবীন্দ্র ভবন থেকে শুরু হবে রোড শো। ত্রিপুরা (Tripura) রাজবাড়ি, দুর্গাবাড়ি, ট্যাকশন গেট, কামান চৌমোহনি হয়ে বটতলা বাজার ঘুরে শেষ হবে রবীন্দ্র ভবনেই। সেখানে নির্বাচনী সভা করবেন মমতা (Mamata Banerjee) ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সভা শেষে আজই কলকাতায় ফিরবেন মুখ্যমন্ত্রী।


রোড শো আর জনসভা: বিধানসভা ভোটের (Assembly Election) প্রচারে সোমবার থেকে ত্রিপুরায় আছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও গতকাল জোড়া নির্বাচনী সভা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একটাও শব্দ খরচ করলেন না অমিত শাহ। আক্রমণ করলেন শুধুই বাম এবং কংগ্রেসকে! যা নিয়ে ফের আঁতাঁতের অভিযোগে সরব হয়েছে সিপিএম। প্রত্য়াশিতভাবেই তৃণমূল-বিজেপি কেউই এই অভিযোগ মানতে নারাজ। এ দিকে আজ আগরতলায় রোড শো আর জনসভা।


ভোটের (Election) আগে ২ দিনের সফরে ত্রিপুরায় (Tripura) গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গতকাল তাকে দেখা গিয়েছিল খোস মেজাজে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) সঙ্গে নিয়ে পুজো দেন ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে।  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক দুজনেই জানিয়েছিলেন যে তৃণমূলের বাংলা মডেল এবার শুরু হতে চলেছে ত্রিপুরায়। তৃণমূলের প্রকাশিত ইস্তেহারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, সবুজ সাথী, চাকরির প্রতিশ্রুতিও রয়েছে।                   


হালকা মেজাজে মমতা: সোমবার সন্ধ্যেয় অবশ্য হালকা মেজাজে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাস্তার পাশে এক দোকানে সটান ঢুকে পড়েন। প্রথমে যান শিঙারা-কচুরির দোকানে। প্রাথমিকভাবে শিঙারা বানানোর তদারকি করতে করতে পরে নিজেই ময়দা বেলে তা সঠিক আকারে কেটে আলুর পুর ভরার বিষয়টিও বুঝিয়ে বলেন। এর পর পাশের পানের দোকানেও যান তিনি। সেখানে মমতা বলেন, "আমি শুনেছি ত্রিপুরার মানুষ খুব পান খেতে ভালবাসে।" এরপর নিজের হাতে একটু পানও সাজতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। 


কিছুদিন আগেই বোলপুরে প্রশাসনিক সভার পরে শান্তিনিকেতনের সরকারডাঙায় দোকানে ঢুকে নিজে হাতে চা  তৈরি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাঁটতে হাঁটতে সরমা মাড্ডি নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার চায়ের দোকানে গিয়ে ওঠেন তিনি। এরপর নিজেই হাত লাগান চা তৈরি করতে। কথা বলতে বলতেই, চা কাপে ঢেলে, সরমা মাড্ডি এবং তাঁর মেয়ে পায়েলের হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি নিজেও তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে চায়ের কাপে চুমুক দেন। মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি করা চা সকলকে পরিবেশন করেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।                                                                  


তবে এই প্রথম নয়, এর আগে দিঘাতেও চা বানিয়েছিলেন মমতা। চা তৈরি না থাকায় দোকানের ভিতরে ঢুকে যান তিনি। দোকানদারের হাত থেকে হাতা নিয়ে নেন। ফুটন্ত চা নাড়তে শুরু করেন। চায়ে দুধ কেন কম, তা-ও জানতে চেয়েছিলেন দোকানদারের কাছে। তার আগে জনসংযোগে বেরিয়ে কখনও ফুচকা, কখনও মোমো, কখনও আবার চপও ভেজেছেন মমতা।