কলকাতা : ভ্যাকসিন। করোনা প্রতিরোধে এটাই এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি। তা এক বাক্যে বুঝেছেন সবাই। কিন্তু, দেশে চাহিদা অনুযায়ী ভ্যাকসিনের সরবরাহ নেই। অথচ দিন দিন মৃত্যুমিছিল বাড়ছে। রাজ্যের পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক। এই অবস্থায় দ্রুত বিশ্বের অন্যান্য প্রস্তুতকারী সংস্থার কাছ থেকে ভ্যাকসিন আমদানির আবেদন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মর্মে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন। 



চিঠিতে মমতা লিখেছেন, আপনি জানেন যে বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা মহামারী মোকাবিলায় ভ্যাকসিনই প্রকৃত প্রতিষেধক। যদিও আমাদের দেশে ভ্যাকসিনের উৎপাদন যথেষ্ট নয়। পশ্চিমবঙ্গে ১০ কোটি এবং গোটা দেশে ১৪০ কোটি মানুষের জন্য ভ্যাকসিন প্রয়োজন। কিন্তু, অতি অল্প সংখ্যক মানুষকে এপর্যন্ত ভ্যকসিন দেওয়া গিয়েছে। অথচ এটা পরিষ্কার যে এই মুহূর্তে বিশ্বে অনেক ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা রয়েছে। বিজ্ঞানী এবং বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিয়ে দেখা যেতে পারে যে, এই ভ্যাকসিন উৎপাদনকারীদের মধ্যে কাদের আন্তর্জাতিক খ্যাতি এবং বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ওইসব সংস্থার কাছ থেকে দ্রুত ভ্যাকসিন নিয়ে আসা আমাদের পক্ষে সম্ভব। আপনার কাছে আবেদন, আর দেরি না করে ভ্যাকসিন নিয়ে আসার ব্যবস্থা করুন।



এর পাশাপাশি মমতা ভ্যাকসিনের অভাব মেটানোর জন্য প্রস্তাবও দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, আমাদের দেশে ওয়ার্ল্ড প্লেয়ারদের(ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থা) জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজির বিষয়ে উৎসাহ দেওয়া যেতে পারে। বহু পরিমাণে ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য আমরা জাতীয় স্তরের সংস্থাগুলিকেও এব্যাপারে উৎসাহিত করতে পারি। এক্ষেত্রে আমরা যে কোনও সংস্থাকে পশ্চিমবঙ্গে জমি এবং অন্যান্য সাহায্য দিতে প্রস্তুত।


এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে চিকিৎসা সরঞ্জামে আমদানি শুল্ক মকুবের আর্জি জানিয়েছিলেন মমতা। কখনও ভ্যাকসিন, কখনও অক্সিজেন সরবরাহ, কখনও আবার চিকিৎসা সরঞ্জামে শুল্ক কমানোর আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশজুড়ে ভ্যাকসিনের চাহিদা তীব্র হয়েছে। কিন্তু, যথেষ্ট পরিমাণে জোগানের অভাবে অনেক রাজ্যেই থমকে আছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া।